মে মাসেই মমতা সরকার খালাস: অমিত শাহ
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিনই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে যাবেন, রাজ্যে তাঁর আর দরকার নেই। মে মাসেই খালাস হয়ে যাবে মমতার সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এক জনসভায় এই হুঁশিয়ারি দেন অমিত শাহ। তিনি জনসভা থেকে ‘তৃণমূল হটাও’ ডাক দেন।
অমিত শাহ বলেন, মে মাসেই মমতা সরকার শেষ। লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন সবাই বুঝে যাবে, আর নেই দরকার, মমতার সরকার। সকাল নয়টায় নির্বাচনের ফল গণনা শুরু হবে। বেলা একটার মধ্যে গণনা শেষ হবে। বেলা দুইটার পর থেকে মমতার পতন শুরু হয়ে যাবে।
বিজেপি এলে এবার অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, একটি পায়রাকেও সীমান্ত পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মমতার অনুপ্রবেশকারী ভোটব্যাংক রুখে দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গের চিটফান্ড কেলেঙ্কারির কথা উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, যেসব মানুষ প্রতারিত হয়েছে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
অমিত শাহর ভাষ্য, মমতার আঁকা ছবি কিনতে চিটফান্ডের টাকা খরচ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে সরকার বদলানোর ডাক দিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘সোনার বাংলা গড়তে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন। বিজেপিই পারবে সোনার বাংলা গড়ে দিতে।’
কটাক্ষ করে অমিত শাহ বলেন, এখন বাংলায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান নেই। আছে শুধু বোমা তৈরির শিল্প। রবীন্দ্রনাথ, চৈতন্যদেব, রামকৃষ্ণ দেবের বাংলাকে ফের ফিরিয়ে আনতে হবে।
কেন্দ্রেও মোদির সরকার আনতে আহ্বান জানান অমিত শাহ।
কাঁথির জনসভা শেষে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা যখন ফিরছিলেন, তখন তাঁরা হামলার শিকার হন। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের (বিজেপি) বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করেছেন। মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের দাবি, বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরাই তাদের (তৃণমূল) অফিসে হামলা চালিয়েছে।
হামলা ঘটনার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ফোন করেছেন। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির পাশাপাশি রাজ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ-সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছেন।
মমতার আঁকা ছবি নিয়ে অমিত শাহের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁকে আইনি চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। চিঠিতে তিনি অমিত শাহকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। নইলে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।