মহারাষ্ট্রে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ ৯০ জনের মৃত্যু
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। গতকাল বুধবার রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেছেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ সংক্রমিত হয়ে এ রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রী।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পাশাপাশি মহারাষ্ট্র রাজ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। রাজেশ তোপে বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫০০ জন।
রাজেশ তোপে বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসাসংক্রান্ত খরচের দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই অনেকেই এর ব্যয়ভার বহন করতে পারছেন না। আগে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত রাজ্য সরকার খরচ করতে প্রস্তুত ছিল। এখন এ ক্ষেত্রে কিছু বদল আনা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য দুই লাখ রুপি পর্যন্ত ব্যয় করবে মহারাষ্ট্র সরকার। শুধু রেশন কার্ড থাকলেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
মিউকরমাইকোসিস একটি বিরল সংক্রমণ। মিউকর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ হয়। সাধারণত মাটি, গাছপালা, পচনশীল ফল ও শাকসবজিতে এই ছত্রাক দেখা যায়।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) জানিয়েছে, মিউকরমাইকোসিস মুখে আক্রমণ করতে পারে। নাক, চোখ ও মস্তিষ্কে এর সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ সংক্রমণে সাইনাসের ব্যথা, এক নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথার এক পাশে ব্যথা, ফুলে যাওয়া, দাঁতে ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। সংক্রমণে রোগী দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন। এটা ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষত ডায়াবেটিস রয়েছে—এমন কোভিড পজিটিভ রোগীদের এ ছত্রাকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কেননা, স্টেরয়েডের অপব্যবহার কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে মিউকরমাইকোসিস রোগীর সংখ্যা বেডেই চলেছে রাজ্যে। তাই বর্তমানে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যার নিরিখে দুই লাখ এম্ফোটেরিসিন ইনজেকশনের প্রয়োজন।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, দিল্লি, রাজস্থান ও ঝাড়খন্ডে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মহামারি ঘোষণা করা হয়েছে রাজস্থানে।