উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রথম দফার ভোট শেষে সব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) স্ট্রং রুমে চলে এসেছে। তিন স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনীতে রাখা হয়েছে ইভিএমগুলোকে। সবখানেই রয়েছে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী। আগামী ২৩ মে ভোট গণনা অবধি এভাবেই থাকবে ইভিএমগুলো।
আজ শুক্রবার সকালেও বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে ইভিএম এসে পৌঁছায় সুরক্ষিত স্ট্রং রুমে। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর নজরদারিতেই সেগুলো সুরক্ষিত রাখা হচ্ছে নির্ধারিত কক্ষে। বিশাল ভবনকে ঘিরে রাখছেন সশস্ত্র আধা সেনা জওয়ানরা। প্রথম স্তর থাকছে একেবারে ভবনের ভেতরে। সেখানে বিশেষভাবে দরজা বন্ধ করা ঘরের ভেতর রয়েছে ইভিএম। আর দরজার বাইরে ২৪ ঘণ্টার নজরদারিতে থাকছেন আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।
সেই ঘরের বাইরেও থাকছে সশস্ত্র প্রহরা। সেখানে বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। থাকছে সিসিটিভির নজরদারিও। ২৪ ঘণ্টা আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রাখা হয়েছে অগ্নিনির্বাপণ গাড়িও।
তৃতীয় স্তর হচ্ছে ভবনগুলোর সীমানা। সেখানে অবশ্য থাকছেন সশস্ত্র রাজ্য পুলিশের কর্মী। সবাইকেই পরীক্ষা করে বিশেষ প্রবেশাধিকার নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
২১ মের আগে তালাবদ্ধ ঘরের ভেতর ঢোকার অধিকার কারও নেই। তবে কমিশনের অনুমতি নিয়ে সব প্রার্থীর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিশেষ প্রয়োজনে সেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তা ঢুকতে পারেন।
আগামী ২৩ মে ভোট গণনা। সেদিনই খোলা হবে সব ইভিএম। তার আগ পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে পুরো ভোট। অর্থাৎ প্রায় দেড় মাস বন্দিদশায় থাকছে মানুষের রায়। স্ট্রং রুমের বাইরেই থাকবে আলাদা ভোট গণনা কেন্দ্র।
এদিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের ৮ রাজ্যে প্রথম দফায় ১৪টি আসনে ভোটের হার বেশ সন্তোষজনক বলেই নির্বাচনী কর্মকর্তারা দাবি করছেন। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ত্রিপুরায়—৮১ দশমিক ২১ শতাংশ। সবচেয়ে কম মিজোরামে। সেখানে ভোটের হার ৬১ দশমিক ২৯ শতাংশ।
অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় রাজ্য বিধানসভারও ভোট। সেখানে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৬৬ ও ৬৯ শতাংশ। আসামের ৫টি আসনে ভোটের হার ৬৮ শতাংশ। এ ছাড়া নাগাল্যান্ডে ৭৮, মণিপুরে ৭৮.২ ও মেঘালয়ে ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাকি ১১টি আসনের মধ্যে ৭টিতে ভোট ১৮ এপ্রিল। ২৩ এপ্রিল ভোট হবে বাকি ৪ আসনে। ২৩ মে একই সঙ্গে সব ভোট গণনা করা হবে।