ভারতে ধনকুবের-ব্যবসায়ী-রাজনীতিবিদ কে নেই প্যান্ডোরার তালিকায়

প্যান্ডোরা বলছে, তাদের তালিকায় তিন শতাধিক ভারতীয়র নাম রয়েছেছবি: আইসিআইজি

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, ধনী ও প্রভাবশালীদের গোপন অর্থ লেনদেনের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে প্যান্ডোরা পেপারস। এ তালিকায় এসেছে ভারতের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজনের নামও। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান ও ধনকুবের অনিল আম্বানি, পলাতক হীরা ব্যবসায়ী নীরব মোদির বোন, জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা শচীন টেন্ডুলকার। এমনকি রাজনীতিবিদ, আইনবিষয়ক কর্মকর্তা ও সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন এ তালিকায়। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে ভারতীয় ধনকুবের অনিল আম্বানিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। তাঁর সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছে প্যান্ডোরা পেপারস। বলা হচ্ছে তাঁর ১৮টি অফশোর কোম্পানির মালিকানা রয়েছে।

ভারত থেকে পালানোর মাত্র এক মাস আগে হীরা ব্যবসায়ী নীরব মোদির বোন একটি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

প্যান্ডোরার তালিকায় আছেন ভারতের কোটিপতি উদ্যোক্তা কিরণ মজুমদার সাওয়ের স্বামী জন সাও। তিনি বায়োফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান বিওকন লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত। জানা গেছে, তিনিও একটি ট্রাস্ট গড়ে তুলেছেন সেখানে।

ঘটনার এখানেই শেষ নয়; প্যান্ডোরা বলছে, তাদের তালিকায় তিন শতাধিক ভারতীয়র নাম রয়েছে। ৬০ প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অফশোর হোল্ডিং রয়েছে। তদন্তের পর তাঁদের নাম প্রকাশ করবে প্যান্ডোরা।

ভারতীয় ব্যাংকের কয়েক কোটি রুপির ঋণখেলাপির নামও প্যান্ডোরা পেপারসে রয়েছে। এমনকি কারাবন্দীদের অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে একটি বোম্বার্ডিয়ার চ্যালেঞ্জার উড়োজাহাজ কেনার তথ্যও রয়েছে। অনেক প্রোমোটর যাতে ঋণখেলাপি হতে না হয়, সে জন্য তাঁদের সম্পদ অফশোর ট্রাস্টে বিনিয়োগ করেছেন।

প্যান্ডোরা পেপারসের তালিকায় রয়েছেন ভারতের কয়েকজন রাজনীতিবিদও। তাঁদের মধ্যে অনেকে পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য। তাঁরা ভারতীয় তদন্ত সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন।

প্যান্ডোরার তালিকায় আছেন রাজস্ব বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা, সাবেক কর কমিশনার, ঊর্ধ্বতন সাবেক সেনা কর্মকর্তা, আইনবিষয়ক সাবেক কর্মকর্তাও।
ভারতীয় আইনে অফশোর ট্রাস্টের অনুমোদন রয়েছে। তবে দেশটির শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী পরিবারগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সম্পদ ফেরত দেওয়ার ভয়ে তড়িঘড়ি ট্রাস্ট স্থাপন করে।