২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

দিল্লিতে ৭২ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় উষ্ণতম এপ্রিল মাস

প্রতীকী ছবি
ছবি: এএনআই

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলতি এপ্রিল মাসটি ৭২ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় উষ্ণতম এপ্রিল মাস। চলতি মাসে গড়ে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিল্লি। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র তাপপ্রবাহ চলার মধ্যে দিল্লিতে এমন তাপমাত্রা রেকর্ড হলো। খবর এনডিটিভির

২৮ ও ২৯ এপ্রিল দিল্লিতে ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ১২ বছরে দিল্লিতে এপ্রিল মাসে রেকর্ড হওয়া সর্বোচ্চ উষ্ণতম দিন এগুলো।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ‘কমলা’ সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। এর মানে হলো, এসব জায়গায় তাপপ্রবাহ মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। তাপপ্রবাহের পাশাপাশি বিদ্যুৎসংকট দেখা দেওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। মার্চ ও এপ্রিলে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় কয়লার সংকটের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

কিছু কিছু অঞ্চলে পানি সরবরাহ ব্যবস্থায়ও ব্যাঘাত ঘটছে। জুন ও জুলাইয়ে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

তাপপ্রবাহের কারণে কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকার স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে, নয়তো ক্লাসের সময় কমিয়ে দিয়েছে। বিহারে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে স্কুলের পাঠদান শেষ করতে বলা হয়েছে। দিনের মধ্যভাগের পর বাইরে অবস্থান না করতে জনসাধারণের প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতের আবহাওয়া বিভাগ পরবর্তী পাঁচ দিনের জন্য ভারতের মধ্যাঞ্চল ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে কমলা সতর্কতা জারি করেছে। আগামী মাসের শুরুর দিকে তাপপ্রবাহ আরও ছড়াতে পারে। এর মানে হলো, আরও বেশ কিছুদিন মানুষকে ভয়াবহ তাপমাত্রার মধ্যে দিন কাটাতে হবে। সঙ্গে তাদের বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকার সময়টাও বাড়বে।

ভারতে এপ্রিল ও মে মাসে হালকা গ্রীষ্মকালীন বৃষ্টি হয়ে থাকে। এতে তাপমাত্রা কমে এবং বৃষ্টির পানিতে নোংরা ধূলিকণাগুলো ধুয়ে যায়।

ভারতে ২০১০ সাল থেকে তাপপ্রবাহের কারণে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রায়ই তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে।