গরু সুরক্ষায় নতুন আইনের কথা ভাবছে বিজেপি
উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামে নির্বাচনের পরেই এই সপ্তাহের গোড়ায় ওই রাজ্যের ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার বলছে, গরু সুরক্ষায় নতুন আইন আনা হবে। রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীশ মুখী বলেছেন, আসামের গরু যাতে বাইরে না যায়, সে জন্য রাজ্যের সরকার বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশনে গরু সুরক্ষা বিল আনবে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও বলেছেন, হিন্দুদের জন্য নির্দিষ্ট ধর্মীয় স্থানের কাছাকাছি গরু খাওয়া তিনি সমর্থন করেন না।
মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরেই হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন, বেআইনি নাগরিক চিহ্নিতকরণের তালিকা ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস (এনআরসি) আবার খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবেন তাঁরা। পাশাপাশি ওই রাজ্যে নির্বাচনের আগেই সরকারি মাদ্রাসাগুলোর অনুমোদন বাতিল করে সেগুলোকে সাধারণ স্কুলে রূপান্তরিত করার কথা বলেছিলেন তিনি।
অর্থাৎ মুসলমান সম্প্রদায়ের জীবিকা, নাগরিকত্ব ও শিক্ষা—এই তিন বিষয়কেই ঢেলে সাজাতে চাইছে এই রাজ্যের বিজেপি সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা তাঁর নির্বাচনী প্রচারে লাগাতার মুসলিম ও অন্যান্য আঞ্চলিক জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এ কারণে নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তাঁর প্রচার থেকেই এটা পরিষ্কার ছিল যে বিজেপি জিতলে যে পরিবর্তন আনা হবে, তা বাঙালি মুসলমানের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
গত সোমবার রাজ্যের বিধানসভায় বিজেপি সাংসদ মৃণাল শইকীয়া ও জয়ন্তমল্ল বড়ুয়া বলেছেন, আসামে গরু কেনাবেচা ও হত্যা বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য।
এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আনলে ভবিষ্যতে উত্তর ভারতসহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতো আসামেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে হামলা হতে পারে বলে রাজ্যের বিরোধী দলগুলো মনে করছে।