এনআরসি-র দাবিতে ত্রিপুরায় হরতাল, অবরোধের ডাক
ভারতের আসাম রাজ্যের মতো ত্রিপুরা রাজ্যেও নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র দাবিতে শুরু হচ্ছে আন্দোলন। আঞ্চলিক দল আইপিএফটি ও আইএনপিটি পৃথকভাবে এ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। ৫ ডিসেম্বর ত্রিপুরা বনধের ডাক দিয়েছে আইপিএফটি। আর জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে আইএনপিটি।
আজ শনিবার আঞ্চলিক দল আইপিএফটি নেতা অনন্ত দেববর্মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ত্রিপুরায় এনআরসি চাই। সেই সঙ্গে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আমরা ১২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছি।’আর আইএনপিটি-র সভাপতি বিজয় রাঙ্খল দাবি জানান, ‘অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশীদের সনাক্ত করতে হবে। তার জন্য চাই এনআরসি। সেই সঙ্গে বাতিল করতে হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।’
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে ভারতের বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করতে জাতীয় সংসদে বিল এনেছে। সেই বিলটি বর্তমানে যৌথ সংসদীয় কমিটির বিবেচনাধীন।
আইপিএফটি ত্রিপুরার বর্তমান জোট সরকারে বিজেপির শরিক দল। দল হিসাবে বিজেপি এখনও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে।
আইপিএফটি-র দাবি সম্পর্কে ‘অবহিত নই’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য। আর আইএনপিটি-র রাজনৈতিক অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রথম আলোকে নবেন্দু বলেন, ‘বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা আসতে বাধ্য হলে তাঁদের জন্য ভারতে বসবাসের পক্ষে বিজেপি। কারণ ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল দেশ।’
শরিক দলের রাজ্যভাগের দাবি প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরার শ্লোগানই বিজেপির মন্ত্র। রাজ্যভাগের দাবির প্রতি বিন্দুমাত্র সমর্থনেরও প্রশ্নই ওঠে না।’
আইএনপিটি সম্পর্কে নবেন্দুর কটাক্ষ, ‘বিন্দুমাত্র জনসমর্থন নেই দলটির প্রতি। এখন নতুন নতুন ইস্যু তুলে মানুষকে কাছে টানতে চাইছে। ত্রিপুরার মানুষ তাতে সাড়া দেবে বলে মনে হয় না।’
বিজেপি যাই বলুক না কেন ৫ ডিসেম্বরের হরতাল আর ১০ ডিসেম্বরের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজ্যরাজনীতি বেশ সরগরম ত্রিপুরায়।