করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারতের আসাম রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ ছাড়া এই রাজ্যে ৭ মে পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
আসামের বিধানসভা নির্বাচনে কাল ২ মে ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। এ কার্যক্রমকে সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার রাজ্য সরকার বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করে নির্দেশ জারি করে। এদিনই পৃথক আরেক নির্দেশে রাত্রিকালীন কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, ‘২ মে ২০২১ তারিখে ভোট গণনার সময় ও তারপর যেকোনো স্থানে যেকোনো প্রকার বিজয় মিছিল বা জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলো।’ তবে নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের সীমিত পরিসরে বিজয় উদ্যাপনের সুযোগ রেখেছে সরকার। এ ক্ষেত্রে বিজয়ী প্রার্থী দুজনকে সঙ্গে রাখতে পারবেন। তবে আতশবাজি পোড়ানো ও উচ্চ শব্দযন্ত্র বা লাউড স্পিকার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সবাইকে পরতে হবে মাস্ক।
এদিকে আসামে চলমান রাত্রিকালীন কারফিউর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আজ মধ্যরাতে। তার আগেই নতুন নির্দেশ জারি করে ৭ মে পর্যন্ত এ কারফিউর মেয়াদ বাড়ানো হলো। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, প্রাণী সেবাকেন্দ্র, ভেটেরিনারি ক্লিনিকসহ জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাদে সব ধরনের দোকান, বাজার, শপিং মল রাত্রিকালীন কারফিউর সময় বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ, পানি ও পয়োনিষ্কাশন এবং গণপরিবহন সেবাকে অবশ্য কারফিউয়ের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। কারফিউকালীন এই সময়ে ভারত সরকারের কর্মকর্তা, আসাম রাজ্য সরকারের কর্মকর্তা, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পরিচয়পত্র প্রদর্শনপূর্বক যাতায়াত করতে পারবেন।
আসাম রাজ্য সরকারের তথ্যমতে, শুক্রবার এ রাজ্যে করোনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ রাজ্যে এ পর্যন্ত এটিই করোনায় এক দিনে মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ নিয়ে আসামে করোনায় মারা গেলেন ১ হাজার ২৮১ জন রোগী। এ ছাড়া শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৯৭ জন নতুন রোগী। এ নিয়ে আসামে করোনা সংক্রমিত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৫৩ হাজার ১২৩ জন হয়েছে। তাদের মধ্যে মৃদু, মাঝারি বা গুরুতর—এমন চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা এখন ২৩ হাজার ৮২৬।