অযোধ্যা মামলার রায় শিগগিরই
ভারতের বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি নিয়ে করা ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যে হতে পারে। মামলার রায় দেবেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বে গড়া ৫ সদস্যের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি গগৈ ১৭ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন। এর আগে এই মামলার রায় দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছিল।
এই রায়ের পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, এ জন্য ভারতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেস দলের বৈঠকের পর বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় যা-ই– হোক না কেন, এতে যেন দেশের শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট না হয়। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রায় কী হবে, জানি না। কিন্তু রায় বেরোলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দলের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। শান্তি বজায় রাখতে হবে। রায় নিয়ে সংবাদপত্রে যা বলতে হবে, তা আমিই বলব। দলের আর কেউ বলবে না।’
অযোধ্যা মামলা নিয়ে যাতে কোনো গুজব ছড়ানো না হয়, সেদিকে নজর রাখতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা শহর এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর থেকে অযোধ্যা শহরে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। ১০ নভেম্বর থেকে এই শহরে জারি হচ্ছে কারফিউ। এই সান্ধ্য আইন অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পর চার দিন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। অযোধ্যার নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে ৪০ কোম্পানি আধা সেনা। এতে অযোধ্যা নগরী এখন একটি দুর্গে পরিণত হয়েছে। এই ৪০ কোম্পানি আধা সেনার মধ্যে রয়েছে ১৬ কোম্পানি সিআরপিএফ ও ৬ কোম্পানি আইটিবিপি। আরও রয়েছে সিআইএসএফ এবং এসএসবির আধা সেনা। উত্তর প্রদেশের ধর্মীয় জায়গাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
উত্তর প্রদেশ সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৮টি অস্থায়ী কারাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। উত্তর প্রদেশের আকবরপুর, টানডা, জালালপুর, জেটপুর, ভিটি ও আল্লাপুরে এই কারাগারগুলো নির্মাণ করা হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের সব রাজ্যে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে।