তিন মেয়ের একসঙ্গে বিয়ে দিচ্ছেন বাবা। সব আয়োজন সম্পন্ন। বিয়ের আসরে উপস্থিত বর-কনেরা। সঙ্গে রয়েছেন পুরোহিত, অতিথিরাও। হঠাৎ দেখা দেয় বিদ্যুৎ–বিভ্রাট। কিন্তু লগ্ন বয়ে যাচ্ছে। তাই আঁধারের মধ্যেই বিয়ের রীতি এগিয়ে চলে। আর তাতেই বাধে বিপত্তি। অন্ধকারে ভুলবশত অদলবদল হয়ে যায় বর। যদিও শেষ রক্ষা হয়েছে। একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে মস্ত এই ভুল ধরা পড়ে।
ঘটনাটি ভারতের মধ্যপ্রদেশে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের আসলানা গ্রামে বসেছিল বিয়ের ওই আসর। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ বিহারি তাঁর তিন মেয়ে নিকিতা, কোমল ও কারিশমার বিয়ে দিচ্ছিলেন। একই সময়ে ও একই জায়গায় তাঁদের বিয়ের আসর বসেছিল।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নিকিতার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ভোলার। আর কারিশমার হবু বরের নাম গণেশ। কিন্তু বিয়ের আসরে নিকিতার সামনে বসেন গণেশ। আর কারিশমার সামনে বসেন ভোলা। সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানান, এটা ভুল করে ঘটে যায়। বিদ্যুৎ না থাকায় বিয়ের মণ্ডপটি অন্ধকার হয়ে ছিল। আর তিনজন কনেই একই রকম পোশাক পরে ছিলেন। এ জন্য গুলিয়ে ফেলেন ভোলা ও গণেশ। বিয়ের মণ্ডপে নিজেদের হবু স্ত্রীর সামনে না বসে তাঁরা মস্ত ভুল করে বসেন।
হিন্দু বিয়েতে সাত পাকে ঘোরা অন্যতম একটি রীতি। ওই বিয়েতে যখন তিন যুগল সাত পাকে ঘুরতে যাবেন, ঠিক তখনই ভুল ধরা পড়ে। উপস্থিত স্বজন-অতিথিরা দেখতে পান, নিকিতার হাত ধরে রয়েছেন গণেশ। অন্যদিকে কারিশমার হাত রয়েছে ভোলার হাতে। এতে শোরগোল শুরু হয়। বরে-কনেরা ভুল বুঝতে পারেন। পরে ভোলা ও গণেশ নিজেদের অবস্থান বদলে নেন।
এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই এ ভুল নিয়ে মজা করেছেন। অনেকে বলেছেন, ভাগ্যিস ভুল ধরা পড়েছে। শেষ রক্ষা হয়েছে।