যুক্তরাষ্ট্রে শিখ হত্যার পরিকল্পনা নস্যাতের দাবি, অভিযোগ দিল্লির দিকে
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এক খালিস্তানপন্থী শিখ নাগরিককে হত্যার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রশাসন মনে করছে, পরিকল্পনাটির পেছনে নয়াদিল্লি জড়িত রয়েছে। এ জন্য ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে ভারতকে সতর্কও করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে তথ্যের কোনো সূত্র উল্লেখ করেনি সংবাদমাধ্যমটি।
গুরুতর এ অভিযোগের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এ বিষয়ে জানতে নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবাদের মুখে ষড়যন্ত্রকারীরা হত্যা পরিকল্পনাটি বাতিল করেছে নাকি দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই এ পরিকল্পনা সরাসরি নস্যাৎ করেছে, এ বিষয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে শিখ নাগরিক হত্যার ঘটনায় কানাডার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছে ভারত। কানাডায় বসবাসকারী খালিস্তানপন্থী শিখ নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জর খুন হয়েছিলেন গত জুনে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সে দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে সেই হত্যায় ভারতের ‘হাত থাকার’ সন্দেহের কথা জানিয়ে ভারতকে তদন্তে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।
জবাবে ভারত বলেছিল, ট্রুডোর এ দাবি মোটেও সত্য নয়। নয়াদিল্লি পাল্টা দাবি করে, কানাডার কাছে যেসব তথ্য রয়েছে, তা ভারতকে দেওয়া হোক। পরবর্তীকালে ভারতের দাবি, কানাডা তা পেশ করেনি। কানাডার অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা নিয়ে ভারত কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নেয় ভারত ও কানাডা। দেখা দেয় কূটনৈতিক সংকট। একে অপরের কূটনীতিক বহিষ্কারের পথে হাটে দেশ দুটি। ভারত ও কানাডার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে শীতলতা এখনো কাটেনি। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে একই ধরনের অভিযোগ পেল ভারত।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কূটনৈতিকভাবে ভারতকে সতর্ক করার পাশাপাশি মার্কিন কেন্দ্রীয় কৌঁসুলিরা নিউইয়র্কের একটি ডিস্ট্রিক্ট আদালতে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগপত্রের বরাতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে গুরপতবন্ত সিং পান্নুন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।