রাহুল গান্ধী পরিপক্ব রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছেন: অমর্ত্য সেন
ভারতে কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী গত কয়েক বছরে রাজনৈতিকভাবে বড় ধরনের পরিপক্বতা অর্জন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেন। তবে বর্তমান পার্লামেন্টে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে তাঁর অগ্নিপরীক্ষা হবে বলে মনে করেন প্রবীণ এই অধ্যাপক।
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র প্রশংসা করে অমর্ত্য সেন বলেন, রাহুল গান্ধীর এই কর্মসূচি শুধু ভারতের জাতীয় রাজনীতিকে নতুন করে গঠন করেনি বরং এটা ভারতের রাজনীতির দৃশ্যপটকেও সমৃদ্ধ করেছে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরে নিজের পৈতৃক বাসভবনে পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক সেন এসব কথা বলেন। রাহুল গান্ধী যখন ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে পড়তে যান, তখন অমর্ত্য সেন সেখানকার অধ্যাপক। সেই সময়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘তরুণ রাহুল যখন ট্রিনিটি কলেজের শিক্ষার্থী, তখন থেকেই আমি তাঁকে চিনি। তখন আমি সেখানে পড়াই। এ সময় একদিন তিনি আমার কাছে এসেছিলেন। তখন অন্য দশটা ছেলের মতো কী করতে চান, তা তাঁর কাছে এতটা স্পষ্ট ছিল না। সে সময় রাজনীতির প্রতিও তাঁর এতটা আগ্রহ ছিল না।’
রাহুল তখন উন্নয়নবিশেষজ্ঞ হতে চেয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক অমর্ত্য সেন।
রাজনীতিবিদ রাহুল প্রসঙ্গে এই নোবেলজয়ী অধ্যাপক বলেন, ‘আমার মনে হয়, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর শুরুর দিকে তাঁকে কিছুটা কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। কিন্তু তাঁর সাম্প্রতিক কাজকর্ম অসাধারণ। আমি তাঁর বড় ভক্ত হয়ে গেছি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে রাহুলের সম্ভাবনা কতটুকু? এমন এক প্রশ্নের জবাবে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘এটা তো বলতে পারব না (হাসি)। কেউ কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হন, তা আগে থেকে বলাটা বেশ কঠিন।’
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ থেকেই রাহুল তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক রসদ সংগ্রহ করেছেন জানিয়ে ৯০ বছর বয়সী অমর্ত্য সেন বলেন, ‘বিরোধী নেতা হিসেবে রাহুলের প্রধান দায়িত্ব হলো বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যাপারে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া। বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের মানুষ মুসলমান, খ্রিষ্টান ও অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর কীভাবে আধিপত্য বিস্তার করছেন, সেটার প্রতি তাঁকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’