ধর্মতলার সভায় বিজেপিবিরোধী জোট নিয়ে কী বার্তা দেবেন মমতা
প্রতিবছরের মতো আজ শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মধ্য কলকাতার ধর্মতলা অঞ্চলে শহীদ দিবস পালন করছে। ইতিমধ্যে নেতা–কর্মীরা সেখানে সভাস্থলে যেতে শুরু করেছেন।
সাধারণত, এই দিনে দলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি দীর্ঘ ভাষণে গত এক বছরে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বলবেন আগামী এক বছরে দলের প্রধান লক্ষ্য ও কর্মপদ্ধতি কী হবে।
নিঃসন্দেহে আগামী এক বছরে তৃণমূল কাজ করবে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে। এই নির্বাচনে সাফল্য পেতে দলের নেতা-কর্মীদের কী করতে হবে এবং সদ্য গঠিত বিজেপিবিরোধী জোটের চেহারা ও চরিত্র কেমন হবে—তা নিয়ে আজ মমতার ভাষণে একটা ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই পুলিশের গুলিতে যুব-কংগ্রেসের ১৩ কর্মী নিহত হন। অবশ্য সে সময় তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হয়নি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল গঠিত হয়েছে ১৯৯৮ সালে। তবে যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৩ সালের মিছিলে ছিলেন, তাই দিনটিকে তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবস হিসেবে তিনি পালন করেন। সে সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিপিআইএম দলের নেতা জ্যোতি বসু এবং প্রধান বিরোধী দল ছিল কংগ্রেস।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে আজকের সভাকে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে নয়, ‘শ্রদ্ধা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছে তৃণমূল। কারণ, পঞ্চায়েত ভোটে দলের বেশ কিছু সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। আজ মঞ্চ থেকে তাঁদের শ্রদ্ধা জানানো হবে।
ধরে নেওয়া যেতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) কড়া ভাষায় আক্রমণ করবেন। পাশাপাশি তিনি কংগ্রেস এবং আরও ২০টির বেশি দল নিয়ে গঠিত ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে নিয়ে কী বলেন, সেটাও দেখার। নেতা–কর্মীসহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষের এটাও জানার আগ্রহ থাকবে, ভবিষ্যতে রাজ্যে তৃণমূলের দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী (‘ইন্ডিয়া’ জোটভুক্ত দল) দল সিপিআইএম ও কংগ্রেসকে কী বার্তা দেন। এই জোটে মমতার দলও রয়েছে।
ইতিমধ্যে দক্ষিণ কলকাতার হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির গলিতে ‘পুলিশ’ লেখা একটি কালো গাড়ি নিয়ে সশস্ত্র এক তরুণ ঢোকার চেষ্টা করে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাঁর পরিচয় এখনো জানা যায়নি। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও ভোজালি পাওয়া গেছে।