বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পতনের পর মণিপুরে কারফিউ জারি

মণিপুর রাজ্যে সহিংসতায় গৃহহারা মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষকে পুনর্বাসনে সহায়তা করা হচ্ছে। ৬ আগস্টছবি: এএনআই

বাংলাদেশ থেকে মানুষের অনুপ্রবেশ রোধে ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্য সরকার আজ বুধবার আসাম সীমান্তবর্তী দুই জেলা ফেরজাওল ও জিরিবামে কারফিউ (সান্ধ্য আইন) জারি করেছে। ওই জেলার ম্যাজিস্ট্রেটরা এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে মণিপুরের কোনো আন্তর্জাতিক সীমান্ত নেই, তবে মণিপুরের সঙ্গে দক্ষিণ আসামের সীমানা রয়েছে। যেহেতু আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে, তাই এই কারফিউ জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। গত সোমবার উত্তর-পূর্ব ভারতের আরেক রাজ্য মেঘালয়ও রাতের কারফিউ জারি করেছিল। মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।

মণিপুর রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি একটি নির্দেশ জারি করে বলেছিল, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মণিপুরের সঙ্গে সীমানা রয়েছে, এমন রাজ্য থেকে লোক ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও একাধিক পদক্ষেপ নিতে জেলার ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি সম্পর্কেও তাদের জানানো হয়েছে। ফেরজাওল ও জিরিবাম জেলার প্রশাসকেরা সেই নির্দেশ অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার অধীন রাতের কারফিউ জারি করেন।

ফেরজাওলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। জিরিবামে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

২০২৩ সালের মে মাস থেকে জাতিগত সহিংসতায় মণিপুরে আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন। সেখানে এখনো অস্থিরতা চলছে। মাঝেমধ্যেই মণিপুরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে এবং মানুষ মারাও যাচ্ছেন।

রাজ্যে সহিংসতা শুরুর পর গত ১৫ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনো মণিপুর সফরে যাননি। সম্প্রতি সেখানে লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনই জিতেছে কংগ্রেস।