আর–জি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফের উত্তপ্ত কলকাতা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আর–জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে কলকাতা। আন্দোলনকারীদের দাবি, হত্যাকাণ্ডের তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে, তা উদ্ধার করতে হবে। দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে (সিবিআই) সম্পূরক চার্জশিট দিতে হবে।
এসব দাবিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কলকাতার কেন্দ্রস্থল ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স’। ধর্মঘটে ‘অভয়া মঞ্চ’ ও কলকাতার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও শামিল হয়েছে।
কলকাতার পুলিশ এখানে অবস্থান ধর্মঘটে বসার অনুমতি না দিলে চিকিৎসকেরা হাইকোর্টে গিয়ে অনুমতি নিয়ে আসেন। দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাঁরা ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে চিকিৎসকেরা গত ৫ থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থান ধর্মঘটে বসেছিলেন। নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের পর ১০০ দিন কেটে গেলেও সম্পূরক চার্জশিট দেয়নি সিবিআই। এই সুযোগে আর–জি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ জামিন পেয়ে যান। তবে দুর্নীতির অন্য মামলা থাকায় তিনি এখনো কারাগার থেকে বের হতে পারেনি।
এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বা সম্পূরক চার্জশিট দেওয়ার দাবিতে নতুন করে অবস্থান ধর্মঘটে বসেছেন চিকিৎসকেরা। তবে নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সিবিআই সঞ্জয় রায় নামের একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। এতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি চিকিৎসকেরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। সিবিআইকে নেপথ্যের দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সম্পূরক চার্জশিট দিতে হবে।
আর–জি করের নারী চিকিৎসকে ধর্ষণ ও হত্যার বিচারের দাবিতে তাঁর সহকর্মীরা টানা ১৭ দিন আমরণ অনশনও করেছিলেন।
গত ৯ আগস্ট আর–জি করের ওই নারী চিকিৎসক রাতে হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করার সময় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন।