‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে আবারও উত্তপ্ত কলকাতার আর জি কর হাসপাতাল

কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ।ফাইল ছবি: রয়টার্স

‘থ্রেট কালচারের’ প্রতিবাদে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতার আর জি কর হাসপাতাল। হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, সেখানে সরকারি দলের মদদে থ্রেট কালচার শুরু হয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান ধর্মঘটে বসেন তারা। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগানও দেন।

জুনিয়র চিকিৎসকেরা থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত ৫১ জন চিকিৎসক, হাউস স্টাফ ও ইর্ন্টানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বুধবার ৫১ জনের মধ্যে ১২ জনকে ডাকা হয় হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে তদন্তের জন্য।

তাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে হাসপাতাল চত্বরে অবস্থান ধর্মঘটে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। একপর্যায়ে তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা আশীষ পান্ডে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এলে প্রতিবাদকারীরা ‘চোর চোর’ বলে ধ্বনি দেয়।

বুধবার দুপুরে কলকাতার কেন্দ্রস্থল ধর্মতলার ডরিনা ক্রসিংয়ে জাতীয় কংগ্রেসের ডাকে আয়োজিত অবস্থান ধর্মঘটে আর জি কর হত্যাকান্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করার দাবি তোলেন রাজ্য কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা নারী চিকিৎসকের ধর্ষণকান্ডের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

এদিন বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির এলাকায় নারী চিকিৎসক হত্যাকান্ড ও দুর্নীতির দায় নিয়ে অবিলম্বে মমতার পদত্যাগের দাবি তোলেন বিজেপির নেতারা। এ সময় অবস্থান ধর্মঘটে যোগ দেন বিজেপি নেতা ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ।

এদিকে আরজিকর হাসপাতালের গ্রেপ্তার হওয়া অধ্যক্ষ সঞ্জীব ঘোষ ও টালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিজিৎ মন্ডলকে বুধবার শিয়ালদহ কোর্টে হাজির করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, নারী চিকিৎসক হত্যাকান্ড নিয়ে বিভিন্ন তথ্য লোপাট করার নীল নকশা তৈরি হয়েছে টালা থানায়। এর নেতৃত্বে ছিলেন ওসি নিজেই। এ সংক্রান্ত প্রচুর তথ্য প্রমাণও যোগাড় করেছে তারা।