মরীচিকার মতো পিছিয়ে যাচ্ছে মুক্তির ক্ষণ। একটা সময় মনে করা হচ্ছিল স্রেফ কয়েক ঘণ্টার বিষয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ড্রিল মেশিন ফের অকেজো হয়ে যাওয়ায় প্রতীক্ষা দীর্ঘতর হয়েছে। আগামীকাল রোববার সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে ড্রিল মেশিন বের করে আনা হবে। এরপর শুরু হবে শ্রমিক দিয়ে ড্রিলিং। এ অবস্থায় ভারতের উত্তরাখন্ডে সুড়ঙ্গে অবরুদ্ধ ৪১ জন অবরুদ্ধ শ্রমিক কবে মুক্তি পাবেন তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
শনিবার ছিল অবরুদ্ধ শ্রমিকদের বন্দিদশার চতুর্দশ দিন। উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি উদ্ধার কাজ তদারকি করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সুড়ঙ্গে অগার মেশিন অকেজো হয়ে গেছে। সেটি বের করে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রোববার মেশিন বের করে আনা সম্ভব হলে শ্রমিকেরা সুড়ঙ্গ কাটার কাজ শুরু করবেন। তবে আটক শ্রমিকেরা কবে মুক্তি পাবেন, সে বিষয় মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করতে পারেননি।
উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানান, শনিবার তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। মনোবলও তুঙ্গে। তিনি বলেন, শ্রমিকেরা তাঁকে বলেছেন, তাঁরা খাবার পাচ্ছেন। তাঁদের জন্য চিন্তা করতে হবে না। উদ্ধারকাজ যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সেই চেষ্টা করতে বলেছেন তাঁরা।
ধামি আরও বলেন, অগার মেশিন অকার্যকর হয়ে পড়ায় হায়দরাবাদ থেকে একটি প্লাজমা কাটার নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই মেশিন আটকে থাকা অগার মেশিনকে বের করে আনতে পারবে। অগারকে বের করা না গেলে সুড়ঙ্গ কাটার বাকি কাজ শেষ করা যাবে না।
শুক্রবার উদ্ধারকর্মীরা বলছিলেন, আর মাত্র ১০ থেকে ১২ মিটার সুড়ঙ্গ খনন করা গেলেই শ্রমিকদের নাগাল পাওয়া যাবে।
১২ নভেম্বর উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশী জেলার একটি জাতীয় মহাসড়কে নির্মাণাধীন এই সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে। সুড়ঙ্গটির উচ্চতা সাড়ে আট মিটার এবং এটি প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ।