পশ্চিমবঙ্গে বিচ্ছিন্ন সহিংসতা, ভুয়া ভোটার ধরে পুলিশে দিলেন মহম্মদ সেলিম
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় আজ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের চার আসনে ভোট চলছে। মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর—এই চার আসনে সকালের দিকে দু–একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল মালদহ উত্তর ৩২ শতাংশ, মালদহ দক্ষিণ ৩৩ শতাংশ, মুর্শিদাবাদ ৩৩ শতাংশ ও জঙ্গিপুরে ৩৩ শতাংশ।
তবে এই চার আসনের মধ্যে সবার দৃষ্টি মুর্শিদাবাদ আসনের দিকে। এই আসনে লড়ছেন কংগ্রেস-বাম দলের প্রার্থী ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কংগ্রেস-সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূল এই চার আসনে কংগ্রেস-বাম দলের প্রার্থীদের ভোটদানে বাধা দিচ্ছে। কারণ, তৃণমূল মনে কর, এই চার আসনে কংগ্রেস-বাম জোট যত বেশি ভোট পাবে, তত ক্ষতি হবে তৃণমূল প্রার্থীদের।
কংগ্রেস-সিপিএম জোটের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ আসনে সেলিমকে ঠেকাতে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে বাধা দিচ্ছেন তৃণমূল সমর্থকেরা। বের করে দিচ্ছেন বাম দলের পোলিং এজেন্টদের। ভোটকেন্দ্রের বাইরে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। এরই মধ্যে মহম্মদ সেলিম মুর্শিদাবাদের একটি ভোটকেন্দ্রে ঢুকে এক ভুয়া ভোটারকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
মুর্শিদাবাদের বিজেপির প্রার্থী গৌরী শঙ্কর ঘোষ অভিযোগ করেছেন, আজিমগঞ্জের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে তৃণমূল ভুয়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, সকালে রানীনগর, ডোমকল ও হরিহর পাড়া ভোটকেন্দ্রে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করতে বোমা ফাটিয়েছেন তৃণমূলের সমর্থকেরা। কংগ্রেস নেতার বাড়িতেও বোমা হামলা হয়েছে। গুঠিয়া ভোটকেন্দ্রে সিপিএম এজেন্টকে মারধর করা হয়।
মালদহের হাবিবপুর এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রের ভোটার এলাকায় উন্নয়ন না হওয়ায় ভোট বর্জন করেছেন ভোটাররা। রতুয়ায় কংগ্রেস নেতা–কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছেন তৃণমূলের সমর্থকেরা।
পশ্চিমবঙ্গের চারটি আসনে সকাল ৭টায় ভোট শুরু হয়েছে, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ৪ আসনের নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে ৩৩৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। এই চার আসনে ৫৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে মূল লড়াই হচ্ছে তৃণমূল, বিজেপি ও কংগ্রেস-বাম জোটের প্রার্থীদের মধ্যে।