লোকসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হলেন যে আলোচিত প্রার্থীরা
ভারতে এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিংয়ের মতো কয়েকজন আলোচিত প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। তেমনই কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর ফলাফল জেনে নেওয়া যাক।
স্মৃতি ইরানি
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে হারিয়েছিলেন। তবে এবারের নির্বাচনে তিনি ধরাশায়ী হয়েছেন। কংগ্রেস নেতা কিশোরী লাল শর্মার কাছে ১ লাখ ৬০ হাজার ভোটে হেরেছেন তিনি।
বিক্রমাদিত্য সিং
কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিং হেরেছেন কঙ্গনা রনৌতের কাছে। কঙ্গনা এবারই প্রথম বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৭৪ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। বিক্রমাদিত্য সিং হিমাচল প্রদেশের ছয়বারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিং এবং বর্তমান পার্লামেন্ট সদস্য প্রতিভা সিংয়ের ছেলে।
ওমর আবদুল্লাহ
জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল রশিদ শেখের কাছে পরাজিত হয়েছেন। জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ দুই লাখের বেশি ভোটে হেরেছেন।
মাহবুবা মুফতি
জম্মু কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছে ব্যাপক ধরাশায়ী হয়েছেন। জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতা মিঞা আলতাফ আহমদের কাছে ২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন।
রাজীব চন্দ্রশেখর
তিরুবনন্তপুরম লোকসভা আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে আগেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে বিজেপি প্রার্থী রাজীব চন্দ্রশেখর কংগ্রেস প্রার্থী শশী থারুরের মধ্যে মূল লড়াইটা হয়েছে। ভোট গণনার শুরুর দিকে চন্দ্রশেখর এগিয়ে থাকলেও পরে লাগাম টেনে ধরেন শশী থারুর। শেষ পর্যন্ত কেরালার ওই আসনটিতে ১৬ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন থারুর।
কে সুরেন্দ্রন
বিজেপির প্রার্থী কে সুরেন্দ্রন ওয়েনাড আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্যাপক ধরাশায়ী হয়েছে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী অ্যানি রাজা। নির্বাচনে রাহুল ৬ লাখ ৪০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ১ লাখ ৪১ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন সুরেন্দ্রন।
কেরালায় আরেক বিজেপি নেতা অনিল অ্যান্টনি কংগ্রেস প্রার্থী অ্যান্টো অ্যান্টনির কাছে হেরেছেন। কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী প্রবীণ নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে ৮৫ হাজার ২২ ভোটে হেরেছেন তিনি।
আরও যাঁরা ধরাশায়ী
ছত্তিশগড়ের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ ভাগল রাজনন্দগাঁওয়ে বিজেপি নেতা সন্তোষ পান্ডের কাছে ৪৪ হাজারের বেশি হেরেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক প্রধান দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের কীর্তি আজাদের কাছে পরাজিত হয়েছেন। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮১ ভোটে হেরেছেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেলে কংগ্রেস নেতা নকুল নাথ ছিন্দওয়ারা আসনে হেরেছেন। বিজেপি প্রার্থী বিবেক সাহুর কাছে ১ লাখ ১ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি প্রার্থী নবনীত রানা কংগ্রেস প্রার্থী বলবন্ত বসবন্ত ওয়ানখেড়ের কাছে ১৯ হাজার ৭৩১ ভোটে হেরেছেন।