কারাবন্দী মন্ত্রীর ‘বডি ম্যাসাজের’ ভিডিও ভাইরাল, ভারতজুড়ে হইচই

অভিযোগ ‘বডি ম্যাসাজ’ নিচ্ছেন দিল্লির কারাবন্দী মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনছবি: ভিডিও থেকে

কারাবন্দী দিল্লির মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের একটি ভিডিও নিয়ে হইচই পড়ে গেছে ভারত জুড়ে। তাতে দেখা যাচ্ছে আম আদমি পার্টির এই মন্ত্রীকে কারাগারে বিভিন্ন সময়ে ‘বডি ম্যাসাজ’ করে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দলটির সঙ্গে পাল্টাপাল্টি কথা হচ্ছে ক্ষমতাসীন বিজেপির। খবর এনডিটিভির

শনিবার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা। অর্থপাচারের অভিযোগে করা এক মামলায় গত মেতে গ্রেপ্তার হন সত্যেন্দ্র।

বিজেপি বলছে, সত্যেন্দ্র জৈন তিহার কারাগারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করছেন। আর আম আদমি বলছে, তাদের মন্ত্রী বিশেষ সুবিধা ভোগ করছেন না। বরং চিকিৎসার প্রয়োজনে তাঁকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী) এখন কোথায় লুকিয়ে আছেন? সত্যেন্দ্র জৈনকে গা টেপানো উপভোগ করতে ও কারা আইন লঙ্ঘন করে দর্শকদের সঙ্গে দেখা করতে দেখা যাচ্ছে। আম আদমি পার্টি এখন ‘স্পা অ্যান্ড ম্যাসেজ পার্টি’ হয়ে গেছে উল্লেখ করে গৌরব ভাটিয়া কেজরিওয়ালের কাছে সত্যেন্দ্রের কারা আচরণের ব্যাখ্যা দাবি করেন।

সত্যেন্দ্র জৈন
ছবি: টুইটার থেকে

বিজেপিকে পাল্টা আঘাত করেছে আম আদমি। তারা বিজেপিকে ‘নির্লজ্জ’ বলে অভিহিত করেছে। দলটির ভাষ্য, একজন অসুস্থ ব্যক্তির চিকিৎসা নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া বলেন, কারাগারে এক আঘাতের ঘটনায় সত্যেন্দ্র জৈনের মেরুদণ্ডে দুটি অস্ত্রোপচার করতে হয়। এরপর চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁকে একটি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

সত্যেন্দের জৈনের আইনজীবীরা এই ভিডিও ফাঁসের জন্য ভারতের সম্পত্তিবিষয়ক মামলার তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটেরকে (ইডি) দায়ী করেছে। সত্যেন্দের আইনজীবী মুহাম্মদ ইরশাদ এক টুইট বার্তায় বলেন, এই বিষয়ে বিশেষ আদালতে আবেদন করা হয়েছে। এর ওপর সোমবার শুনানি হবে। আদালত শুনবেন, কীভাবে বিজেপি কারাগারের গোপনীয় ফুটেজ পেয়েছে।

এর আগে গত মাসে ইডি অভিযোগ করেছিল, সত্যেন্দ্র জৈন কারাগারে বিলাসী জীবনযাপন করছেন। তখন তারা দিল্লির একটি আদালতে সিসিটিভি ফুটেজও জমা দিয়েছিল।

ভিডিওটি এমন সময় ফাঁস করা হলো যার কয়েকদিন আগে তিহার কারাগারের পরিদর্শক অজিত কুমারকে বরখাস্ত করা হলো। অজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কারাবন্দী মন্ত্রীকে আইন লঙ্ঘন করে ভিআইপি সুবিধা দিয়েছিলেন।