স্কটল্যান্ডে ভারতীয় হাইকমিশনারকে গুরুদুয়ারায় ঢুকতে দেননি খালিস্তান সমর্থকেরা
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীকে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে গুরুদুয়ারা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তাঁকে সেখানে ঢুকতে দেননি খালিস্তান আন্দোলনের সমর্থক একদল নেতা–কর্মী। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশে বর্তমানে দায়িত্বরত ভারতীয় হাকমিশনার প্রণয় ভার্মার আগে ঢাকায় দায়িত্ব পালন করে গেছেন বিক্রম দোরাইস্বামী।
আজ শনিবার একটি সূত্র জানায়, হাইকমশিনার দোরাইস্বামী গতকাল শুক্রবার স্কটল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে খালিস্তানি আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের বাধার মুখে তিনি গুরুদুয়ারায় ঢোকেননি। ভারতীয় হাইকমিশনার বিষয়টি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে তুলে ধরেছেন।
কানাডায় খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের এজেন্টরা জড়িত বলে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ তোলার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। অবশ্য ভারত এই অভিযোগকে ‘অবাস্তব ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করেছে। এরই মধ্যে গতকাল স্কটল্যান্ডের এ ঘটনা ঘটল।
সূত্র জানায়, দোরাইস্বামী স্কটল্যান্ড সফরের সময় গুরুদুয়ারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানায়। এ সময় সেখানে বসবাসরত শিখ সম্প্রদায়ের একটি অংশ গুরুদুয়ারার বাইরে বিক্ষোভ করে এবং নানা স্লোগান দেয়। তাঁরা ভারতীয় হাইকমশিনারকে গুরুদুয়ারার প্রাঙ্গণে ঢুকতে বাধা দেয়। বিক্ষোভকারী দলটি খালিস্তান আন্দোলন সমর্থক বলে দাবি করছে ভারতীয় হাইকমিশন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, অভিবাসী ভারতীয় এবং স্কটিশ সমাজের গণ্যমান্য বক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করতে ভারতীয় হাইকমিশনার স্কটল্যান্ডে যান।
খালিস্তান আন্দোলনের সমর্থকদের কর্মকাণ্ডের কারণে ভারত–যুক্তরাজ্য সম্পর্কেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তারা বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্যে ভারতীয় হাইকমিশন ও কনস্যুলেটের বাইরে বিক্ষোভ করেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে খালিস্তানিদের একটি দল ভারতীয় হাইকমিশনে ভাঙচুর চালায়। তারা হাইকমিশনের আঙিনা থেকে ভারতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলার চেষ্টা করে।
নয়াদিল্লি যুক্তরাজ্যে কর্মরত ভারতীয় কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বারবার সে দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। খালিস্তান আন্দোলনের সমর্থকেরা ভারতীয় হাইকমিশনারের ছবি ও নাম দিয়ে উসকানিমূলক পোস্টার ও প্রচারপত্র বিলি করেছে। হাইকমিশন বিষয়টি যুক্তরাজ্য সরকারের কাছেও তুলেছিল। তখন থেকে লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।