অমর্ত্য সেনকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের মামলা স্থগিত করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অমর্ত্য সেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দে।
অমর্ত্য সেনের পৈতৃক ১ দশমিক ৩৮ একর জমির মধ্যে ১৩ শতাংশ অবৈধ দখলের অভিযোগ করে আসছে বিশ্বভারতী। এ নিয়ে সম্প্রতি বীরভূমের মহকুমা আদালত ৬ মের মধ্যে অমর্ত্য সেনকে ওই জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন। এরপর অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী এই নির্দেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনে সাড়া দিয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দের একক বেঞ্চে শুনানি হয়।
গত জানুয়ারি মাসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অমর্ত্য সেনকে নোটিশ দেয়। এতে বলা হয়, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ শতাংশ জায়গা জোর করে দখলে রেখেছেন। ওই জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ জারির পর বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনীতির মাঠ। শুরু হয় এ নিয়ে মামলা–মোকদ্দমা।
অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের পৈতৃক বাসভবন প্রতীচীর সামনে বাউলদের নিয়ে অবস্থান করতে গত মঙ্গলবার রাজ্যের এক মন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বভারতী যাতে তাদের দাবি করা জমির দখল নিতে না পারে, সে জন্য তিনি এ কথা বলেছেন।
অমর্ত্য সেন দাবি করে আসছেন, ১৯৪৩ সালে তাঁর বাবা আশুতোষ সেনকে ১ দশমিক ৩৮ একর জমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইজারা দিয়েছিল। সেই জমি এখন অমর্ত্য সেনের নামে বীরভূমের বোলপুরের ভূমি দপ্তর থেকে মিউটেশনও (নামজারি) করা হয়েছে। সুতরাং, অবৈধ দখলের প্রশ্ন নেই। তবে বর্তমানে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ১ দশমিক ৩৮ একর জমির মধ্যে ১৩ শতাংশ অমর্ত্য সেন অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন।
অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী বলেন, অমর্ত্য সেন কোনো জমি বেআইনিভাবে দখল করেননি। ওই জমির কিছু অংশ ইজারা নেওয়া, কিছু অংশ নিজেদের কেনা। সুতরাং, এই জমি থেকে উচ্ছেদের কোনো কথা উঠতে পারে না।