ভারতের সংখ্যালঘু বাজেট এখন পশ্চিমবঙ্গের চেয়েও কম
ভারতের সংখ্যালঘু বাজেট বরাদ্দ কমে গেল পশ্চিমবঙ্গের চেয়েও। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় গতকাল বুধবার যে জাতীয় বাজেট পেশ করেছে, তাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংখ্যালঘু বাজেট ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯৭ কোটি ভারতীয় রুপি, যা গতবারের (২০২২-২৩) থেকে ১ হাজার ৯২৩ কোটি রুপি বা ৩৮ শতাংশ কম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংখ্যালঘু বাজেট বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ২০ কোটি।
সংখ্যালঘু খাতে বরাদ্দ ৩৮ শতাংশ কমানোর কারণে এখন একটিমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু খাতে বাজেট ভারতের সার্বিক বাজেটের থেকে অনেকটাই বেশি। পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের বাজেট ৫০০০ দশমিক শূন্য ৫ কোটি ভারতীয় রুপি। আর ভারতের বাজেট দাঁড়াল ৩ হাজার ৯৭ কোটি রুপি। এই বাজেট হ্রাসের কারণে জাতীয় স্তরে সংখ্যালঘু খাতে এখন মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বরাদ্দ করা হলো।
পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানের সংখ্যা, ২০১১ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে, মোট জনসংখ্যার (৯.১৩ কোটি) ২৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বা ২ দশমিক ৪৭ কোটি। ২০১১ সালের হিসাবমতে ভারতে মোট জনসংখ্যা ১২২ দশমিক শূন্য ৯ কোটি, যার মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা ১৭ কোটির কিছু বেশি (১৪.২%)।
অবশ্য সংখ্যালঘুদের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যায় অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষও রয়েছেন। অর্থাৎ সারা ভারতে পশ্চিমবঙ্গের থেকে পাঁচ গুণ বেশি মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ থাকলেও রাজ্যে সংখ্যালঘু খাতে বাজেট এখন প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।
সংখ্যালঘুদের জন্য প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত যে বৃত্তি দেওয়া হতো, সেই টাকাতেও কাটছাঁট করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষায় গবেষকদের জন্য মাওলানা আজাদ রিসার্চ ফেলোশিপের টাকাও কমানো হয়েছে। এই ঘোষণা কিছুদিন আগে করা হয়েছিল, বাজেটে তা প্রতিফলিত হয়েছে।
কয়েক বছর ধরে ভারতের সামগ্রিকভাবে সংখ্যালঘু খাতে বাজেট বরাদ্দ কমানো হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা কমেনি, বরং বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বাজেটেও তা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।