ওডিশার ট্রেন দুর্ঘটনার আসল কারণ বেরিয়ে আসুক, চান মমতা
ওডিশার বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ১০৩ যাত্রীর দেহ শনাক্ত হয়েছে। এখনো এই রাজ্যের ৩১ যাত্রীর খোঁজ নেই। এ অবস্থায় আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয়বারের জন্য ওডিশা গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ ওডিশার ভুবনেশ্বরের এইমস এবং কটক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান মমতা। এই দুই হাসপাতালে পশ্চিমবঙ্গের ৯৭ যাত্রী চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে মমতা এই রাজ্যের চিকিৎসাধীন আহত রোগীর খোঁজখবর নেন।
সেখানে মমতা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই তদন্তে এই দুর্ঘটনার আসল কারণ বেরিয়ে আসুক। মানুষ জানুক এই দুর্ঘটনার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে, নাকি নাশকতা।’
সিবিআই তদন্ত নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘সত্য ধামাচাপা দেওয়া উচিত নয়। আমি চাই, সত্যটা আমলে আসুক। শুভবুদ্ধির উদয় হোক।’
এখানেই মমতা আহত রোগীর পরিবারপিছু এক লাখ রুপি করে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর সুপারিশে আজ থেকে ওডিশায় শুরু হয়েছে ট্রেন দুর্ঘটনার সিবিআই তদন্ত। আজ সকালেই সিবিআইর জয়েন্ট ডিরেক্টর বিপ্লব চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি দল দুঘ৴টনাস্থল বাহানাগা স্টেশনে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছেন। তারা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে, এই দুর্ঘটনার পেছনে কোনো অন্তর্ঘাত বা ষড়যন্ত্র আছে কি না। তাই তারা ঘটনার দিন প্যানেল কন্ট্রোলরুমে কারা কারা দায়িত্বে ছিলেন, কারা ছুটিতে ছিলেন, কে বা কারা মেইন লাইনে আসা ট্রেন লুপ লাইনে ঘুরিয়ে দিলেন, সেসব বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন।
এদিকে ভুবনেশ্বরের এইমস বা অলইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের মর্গে বিপুলসংখ্যক মৃতদেহ রাখতে না পেরে জাহাজের বিরাট তিনটি রেফ্রিজারেটর কনটেইনার আনা হয়েছে। আর ওই রেফ্রিজারেটরে মৃতদেহ ছয় মাস ধরে রাখা হবে ভুবনেশ্বরের এইমসে। এ সময় ওইসব মৃতদেহের পরিজনদের খোঁজ নেওয়ার সুযোগ থাকবে।