গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগপত্র জমা
গরু পাচার মামলায় পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে আর্থিক দুর্নীতি-সংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউর আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়া হয়। এতে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং তাঁদের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির নাম রয়েছে।
২০৪ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে বলা হয়, গরু পাচার-কাণ্ডে প্রাপ্ত অর্থ নগদে তুলে তা অনুব্রতের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতেন। এই নগদ অর্থের পরিমাণ ১২ কোটি ৮০ লাখ ৯৪ হাজার ২৩৭ রুপি। এই রুপি দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের পরিবার চালকল, জমিজমা কিনেছে। ব্যাংকে জমা করেছে। কারখানা কিনেছে।
বৃহস্পতিবার তথ্যপ্রমাণ-সংবলিত আরও ৯০০ পৃষ্ঠার নথিও জমা দিয়েছে ইডি।
ইডি আরও বলেছে, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের ১১ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পত্তি জব্দ করেছে তারা। যদিও ইডির কাছে অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছেন, এই অর্থ এসেছে চালকল ও জমি বেচাকেনার ব্যবসা থেকে।
অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল দাবি করেছেন, অর্থের খবর তিনি জানেন না। বাবাই জানেন। তিনি শুধু তাঁদের হিসাবরক্ষকের দেওয়া কাগজে সই করেছেন।
আর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি বলেছেন, সুকন্যার নির্দেশেই ব্যাংকের লেনদেন ও রোজকার ব্যবসা চলত। গরু পাচারের ঘুষের অর্থে নতুন সংস্থা খোলা, অর্থের লেনদেন সবকিছুই চলত।
গরু পাচার মামলায় গত বছরের ১১ আগস্ট তৃণমূলের বীরভূম জেলা কমিটির সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। অনুব্রতর এই গ্রেপ্তার তৃণমূলের জন্য ছিল এক বড় ধাক্কা। এর আগে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থের বান্ধবী অর্পিতা মুখার্জির ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। পরে পার্থকে মন্ত্রিত্ব ও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। আর গত মাসে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হন সুকন্যা।