কলকাতায় নারী চিকিৎসক ধর্ষণ–হত্যাকান্ড নিয়ে আবারও উত্তাপ বাড়ছে
আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বদলির পর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছিলেন। তবে তারা নতুন করে ঘোষণা দিয়েছেন তাদের ৭ দফা দাবি এখনও মেনে নেওয়া হয়নি। দাবি মেনে না নিলে আবারও আন্দোলনে নামবেন তারা।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চ একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিকালে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার উত্তরপত্র ফাঁস, নারীর শ্লীলতাহানি, দুর্নীতি ও হয়রানির মতো নানা ঘটনা ঘটছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আদালত উদ্বিগ্ন। আগামী ২১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে জুনিয়র চিকিৎসকেরা বলেছেন, রাজ্য সরকার তাদের সব দাবি এখনও মেনে নেয়নি। তাই এসব দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। শুধু তাই নয় ১ অক্টোবর চিকিৎসকদের যে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে, তার অনুমতি মেলেনি। তাই তারা এ নিয়ে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন।
বুধবার গভীর রাতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা এক নির্দেশ জারি করে বলেছেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই মাসের জন্য কলকাতার ধর্মতলা এলাকায় কোনো ধরনের মিছিল, সভা–সমাবেশ করা যাবেনা। অস্ত্র বা লাঠিসোটা নিয়ে চলা যাবেনা।
এই নির্দেশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মানুষ। সিপিএম এই নির্দেশের প্রতিবাদে হাইকোর্টে মামলা করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার রাণী রাসমণি এভিনিউতে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই ও ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের ডাকে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে নারী চিকিৎসক হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টামূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।