যুক্তরাষ্ট্রে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের ফেরত নেবে ভারত: জয়শঙ্কর

ওয়াশিংটনে কোয়াডের বৈঠকের সময় নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ২২ জানুয়ারি, ওয়াশিংটন ডিসিছবি: এএনআই

যুক্তরাষ্ট্রে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের ফেরত নিতে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে তা জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর নিজেই এ কথা জানান।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ মুহূর্তে ভারতে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন ২০ হাজার নথিপত্রহীন অভিবাসী। তাঁদের কারও কাছে কোনো রকম নথিপত্র নেই। অবৈধভাবে সে দেশে যাওয়া এসব মানুষের অনেকে সে দেশের বন্দিশিবিরে রয়েছেন। গত বছর এ রকম দেড় হাজার অভিবাসীকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে ভারতের ভূমিকা অপরিবর্তিত। ভারত বারবার জানিয়ে এসেছে, অবৈধভাবে কেউ কোনো দেশে গেলে এবং ভারতীয় বলে চিহ্নিত হলে, তাঁকে ফেরত নেওয়ার বিষয়টি ভারত সব সময় খোলামনে বিবেচনা করে আসছে।

জয়শঙ্কর আরও বলেন, এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অতএব যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে যা হচ্ছে, তা নতুন কিছু নয়। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান নীতিগত এবং এই মনোভাব যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে কিছু হলে তার মধ্যে আরও অনেক অবৈধ বিষয় ঢুকে পড়ে। এটা কারও পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।

জয়শঙ্কর অবশ্য এ বিষয়ে বলেন, ভারত সব সময় বৈধ অভিবাসনের পক্ষে। ভারত সব সময় বৈধ অভিবাসনকে সমর্থন করে আসছে। ভারত চায়, সে দেশের নাগরিকদের প্রতিভা ও দক্ষতা সর্বত্র সর্বোৎকৃষ্ট সুযোগ পাক। ভারত বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রে বিশ্বাসী।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পর জয়শঙ্কর চতুর্দেশীয় জোট ‘কোয়াড’–এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। এ ছাড়া তিনি সাক্ষাৎ করেন মার্কো রুবিও এবং সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎসের সঙ্গে। মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে জয়শঙ্কর সে দেশে বৈধভাবে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয়দের সমস্যা ও অসুবিধের কথা তুলে ধরেন।

জয়শঙ্কর বলেন, যাঁরা বৈধভাবে আমেরিকা যেতে চান, তাঁদের ভিসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়। বৈধ উপায়ে ভিসা পেতে সাধারণ নাগরিকদের এত অপেক্ষায় থাকতে হলে সম্পর্ক ঠিক থাকে না। এতে ব্যবসা–বাণিজ্য ও পর্যটনে প্রভাব পড়ে।