পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গুতে ১০ দিনে ৬ জনের মৃত্যু
পশ্চিমবঙ্গে ১৩ থেকে ২২ জুলাই—এই ১০ দিনে ডেঙ্গুর সংক্রমণে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনো রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর ডেঙ্গুর মৃত্যুর এ সংখ্যা নিয়ে মুখ খোলেনি।
তবে বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বলেছে, এখন পর্যন্ত তারা ৬ জনের মৃত্যুসংবাদ পেয়েছে। কলকাতাসহ রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আজ বুধবার বিকেলে বিশেষ বৈঠক করেছে কলকাতা পৌরসভা। সেখানে শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা কথা বলবেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৩ জুলাই ডেঙ্গুতে এই মৌসুমের প্রথম মারা যায় বারাসাতের সায়নিকা হালদার (১০)। ১৯ জুলাই মারা যায় কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ৯ মাসের এক শিশু। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে। ২১ জুলাই মারা যান কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৩০ বছর বয়সী গৃহবধূ বাঙ্গুরের রিংকি রায়। ওই দিন আরও মারা যান ২ জন, নদীয়ার হরিপদ মিস্ত্রি (৬৬) ও উমা সরকার (৪৫)। হরিপদ মিস্ত্রি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেলেও উমা সরকার মারা গেছেন কলকাতার বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে। আর সর্বশেষ ২২ জুলাই মারা যায় কলকাতার পিকনিক গার্ডেনের এক মেধাবী স্কুলপড়ুয়া কিশোরী পল্লবী দে। পল্লবী মারা যায় কলকাতার ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ হাসপাতালে।
সাম্প্রতিককালে গত বছরই এই কলকাতাতেই ডেঙ্গুর আক্রমণ সর্বাধিক ছিল। আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় ৭ হাজার ৫০০ জন। তাই এ বছর শুরু থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কলকাতা পৌর করপোরেশনসহ রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভা, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল—সর্বত্রই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতিতে কলকাতার পৌর করপোরেশন দাবি করেছে, বাংলাদেশ থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে ঢোকার আগে তাঁদের বিভিন্ন চেকপোস্টে ডেঙ্গুর রক্ত পরীক্ষা করা হোক। গতকাল কলকাতা পৌর করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেছেন, বাংলাদেশে এখন ডেঙ্গু মারাত্মক চেহারা নিয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেখান থেকে প্রতিদিন বিমান, ট্রেন এবং সড়কপথে প্রতিদিন মানুষ আসছেন কলকাতায়। তাঁদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।