কেন্দ্র থেকে বিলকিস বানুর ধর্ষকদের মুক্তি দিতে বলেছিল, জানাল গুজরাট সরকার
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানুকে দলবদ্ধ ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরা ‘১৪ বছর কারা ভোগ করেছেন, পাশাপাশি সেখানে তাঁদের আচরণ ভালো ছিল’। বিলকিসকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার অভিযোগে দোষী ব্যক্তিদের মুক্তি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে এমনটাই জবাব দিল গুজরাট সরকার। এনডিটিভির খবর
একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতে দাখিল করা একটি হলফনামায় গুজরাট সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১১ জুলাই একটি চিঠির মাধ্যমে দণ্ডিত এসব ব্যক্তিকে সাজা পূর্ণ হওয়ার আগেই আগাম মুক্তির অনুমোদন দিয়েছিল।
এই ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে করা তিনটি আবেদনের ওপর সর্বোচ্চ আদালত আজ সোমবার শুনানি করেন।
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানু ধর্ষণের শিকার হন। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে ধর্ষণ করার পাশাপাশি তাঁর তিন বছরের মেয়েসহ পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যা করা হয়। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত ১১ অপরাধীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন। বোম্বে হাইকোর্টও সেই সাজা বহাল রাখেন। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ১৪ বছর সাজাপ্রাপ্ত ওই ১১ জনকে গুজরাট সরকার ক্ষমা প্রদর্শন করে মুক্তি দেয়। গুজরাটের গোধরা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ওই অপরাধীদের ফুলের মালা পরিয়ে কপালে তিলক কেটে মিষ্টি খাইয়ে বরণ করা হয়। এ ঘটনা ভারতজুড়ে বিক্ষোভের জন্ম দেয়।
দণ্ডিত ব্যক্তিরা মুক্তি পাওয়ার পর ২৩ আগস্ট গুজরাট সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিপিএম নেত্রী সুভাষিণী আলী, তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র, সাংবাদিক রেবতী লাল ও অধ্যাপক রূপরেখা ভার্মা। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা, বিচারপতি অজয় রাস্তোগী ও বিচারপতি বিক্রম নাথের এজলাসে ২৫ আগস্ট সেই মামলার প্রথম শুনানিতে গুজরাট সরকারকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেন।