দাবি আদায়ে আবার মাঠে নামছেন পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকেরা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ১০ দফা দাবি আদায়ে আবারও মাঠে নামছেন চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে অংশ নেবেন। এ ছাড়া বিকেলে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেবেন জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকসহ সাধারণ মানুষ।
ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে কলকাতার ধর্মতলার অনশন মঞ্চে আমরণ অনশন শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। অনশনে যোগ দিয়েছেন সাতজন জুনিয়র চিকিৎসক। তাঁরা হলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তনয়া পাঁজা, অনুস্টুপ মুখোপাধ্যায় ও স্নিগ্ধা হাজরা, পিজি হাসপাতালের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি হাসপাতালের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, এনআরএস হাসপাতালের পুলস্ত্য আচার্য এবং আর জি কর হাসপাতালের অনিকেত মাহাত।
এই সাত চিকিৎসক অনশন চালিয়ে গেলেও রাজ্য সরকারও তাঁদের দাবি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অনশনস্থলে এসে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কোনো প্রতিনিধি সোমবার নাগাদ আলোচনাও করেনি।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষে দেবাশীষ হালদার বলেছেন, মঙ্গলবার রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা ১২ ঘণ্টার এক প্রতীকী অনশনে অংশ নেবেন। অনশন শুরু হবে সকাল ৯টায়। এ ছাড়া বিকেলে ১০ দফা দাবি আদায়ের দাবিতে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের হবে কলকাতায়। এতে যোগ দেবে জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসকসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। মিছিল শুরু হবে কলেজ স্কয়ার থেকে। শেষ হবে ধর্মতলার জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চে।
অভিযোগপত্র জমা
এদিকে সোমবার বিকেলে কলকাতার শিয়ালদহের বিশেষ সিবিআই আদালতে আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় ২১৩ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে সিবিআই। ঘটনার ৫৮ দিনের মাথায় অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হলো।
অভিযোগপত্রে ধর্ষক ও হত্যাকারী হিসেবে ঘটনার পরদিন ১০ আগস্ট গ্রেপ্তার হওয়া সিভিক পুলিশ সঞ্জয় রায়ের নাম দেওয়া হয়েছে। সিবিআই এই হত্যা মামলার তদন্তে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাটি বলেছে, ওই ঘটনার বহু প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত থাকবে।
আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ আগস্ট রাতে নারীদের রাতজাগা কর্মসূচির দিন একদল দুষ্কৃতকারী ওই হাসপাতালে ঢুকে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। জরুরি ওয়ার্ড তছনছ করে দেওয়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার বহু যন্ত্রপাতি। ওই ঘটনার পর পুলিশ মামলা দায়ের করে। সেই মামলার ৫০ আসামিকে সোমবার শিয়ালদহ আদালত জামিন দিয়েছেন।