দুই বছর পর বাড়ি ফিরলেন করোনায় ‘মৃত’ যুবক

দুই বছর আগে ‘করোনায় মারা যাওয়া’ কমলেশ গত শনিবার হঠাৎ এক আত্মীয়ের বাড়ি ফিরেছেন।

মৃতদেহ
প্রতীকী ছবি

ভারতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কমলেশ পতিদার। গুজরাটের একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসকেরা। ‘মরদেহ’ হস্তান্তর করা হয় স্বজনদের কাছে। রীতি মেনে তাঁর শেষকৃত্যও সম্পন্ন করে পরিবার।

কিন্তু দুই বছর আগে ‘করোনায় মারা যাওয়া’ কমলেশ গত শনিবার এক আত্মীয়ের বাড়ি ফিরেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ধর জেলায়। ঘটনার কোনো কূল-কিনারা করতে পারছেন না স্বজনেরা। এ নিয়ে মুখ খুলছেন না কমলেশও।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সকাল ছয়টার দিকে ৩৫ বছর বয়সী কমলেশ কারোদকালা গ্রামে তাঁর খালার বাসার দরজার কড়া নাড়েন। তাঁকে দেখে হতবুদ্ধি হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের একজন সদস্য বলেন, প্রায় দুই বছর আগেই তাঁরা কমলেশের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছেন।

কমলেশের খালাতো ভাই মুকেশ পতিদার সাংবাদিকদের বলেন, কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন কমলেশ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। পরিবারের সদস্যরা তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন।

মুকেশ বলেন, এখন তিনি (কমলেশ) বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু এত দিন তিনি কোথায় ছিলেন, সে বিষয়ে কিছুই বলছেন না।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে কানওয়ান থানার ইনচার্জ রাম সিং রাঠোর বলেন, কমলেশ পতিদার ২০২১ সালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁকে ভাদোদরার (গুজরাট) একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।