গোয়ার কথা বলে অযোধ্যায় মধুচন্দ্রিমা, বিচ্ছেদ চান স্ত্রী

বিয়ের পর্ব শেষ। কথা ছিল মধুচন্দ্রিমায় যাবেন বিদেশে—অন্ততপক্ষে ভারতের গোয়া সমুদ্রসৈকতে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে স্ত্রীকে অযোধ্যা ও বারানসিতে নিয়ে যান স্বামী। এ নিয়ে বিতণ্ডার একপর্যায়ে এখন বিবাহবিচ্ছেদ চান স্ত্রী।

ওই দম্পতির বাসা ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভুপালে। দুজনই কাজ করছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। গত মে মাসে তাঁদের বিয়ে হয়। এর মাত্র আট মাসের মাথায় ১৯ জানুয়ারি ভুপালের একটি পারিবারিক আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন স্ত্রী।

আদালতে দুজনকে কাউন্সেলিংয়ের দায়িত্বে থাকা শাইল অবস্তি বলেন, ওই নারী তাঁর বিচ্ছেদের অভিযোগে বলেছেন, দুজনের আয় বেশ ভালো। তাই মধুচন্দ্রিমার জন্য বিদেশে যাওয়া তাঁদের কাছে কোনো ব্যাপার ছিল না। তবে আর্থিকভাবে সাবলম্বী হওয়ার পরও বেঁকে বসেন তাঁর স্বামী।

ওই নারী বলেন, তাঁর স্বামী বিদেশে যেতে অস্বীকৃতি জানান। রাজি হন ভারতের ভেতরেই কোনো স্থানে যেতে। কারণ, তাঁকে তাঁর মা–বাবার দেখাশোনা করতে হয়। পরে দুজন সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা গোয়া অথবা দক্ষিণ ভারতে মধুচন্দ্রিমা করবেন।

তবে সে কথাও রাখেননি স্বামী। ভ্রমণে যাওয়ার আগের দিন স্ত্রীকে তিনি বলেন, তাঁরা অযোধ্য ও বারানসিতে যাবেন। উড়োজাহাজের টিকিটও কাটা হয়ে গেছে। কারণ, অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধনের আগে সেখানে ভ্রমণে যেতে চাইতেন তাঁর মা।

স্বামীর ওই কাণ্ডে কিছুই বলেননি স্ত্রী। তাঁর মনমতো অযোধ্যা ও বারানসি থেকে ঘুরে আসেন। তবে মধুচন্দ্রিমা থেকে ফেরার পর এ নিয়ে বিতণ্ডা বাধে দুজনের। পরিস্থিতি গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছালে শেষ পর্যন্ত ভুপালের আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করে বসেন স্ত্রী।