ভারতে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৮

বিস্ফোরণের পরও দেখা যায় মাটিতে পড়ে আছে কিছু আতশবাজিছবি: এএনআই

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের হারদায় আতশবাজির একটি কারখানায় আজ মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৮ জন নিহত ও ৮০ জন আহত হয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ জেলা পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশ্বরি মাহোবিয়া এএফপিকে বলেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভারতের বিভিন্ন টেলিভিশনের ফুটেজে বিস্ফোরণের পর আগুনের লেলিহান শিখা দেখা গেছে। হতাহত ব্যক্তিদের সরিয়ে আনতে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ছুটে গিয়েছে। সামরিক বাহিনীর হেলিকম্পারও মোতায়েন করা হয়েছিল।

মধ্যপ্রদেশ রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেন, বিস্ফোরণের এ ঘটনা খুবই দুঃখের। নিকটবর্তী হাসপাতাগুলোয় থাকা বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকদের ‘প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি’ নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন ঘটনাস্থলে অন্তত ২০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। আরও ৫০টি পাঠানো হচ্ছে।

হার্দা জেলা হাসপাতালের সার্জন মনীশ শর্মা বলেন, ‘স্রোতের মতো রোগী আসছে। আমাদের হাসপাতালে আমরা আটজনকে দ্বগ্ধ অবস্থায় পেয়েছি। মোট ৯০ জন ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে বড় হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

বিস্ফোরণের তীব্রতায় কমপ্লেক্সের আশপাশের অন্তত ১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
ছবি: এএনআই

এ ঘটনায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এতগুলো প্রাণহানির ঘটনায় মর্মাহত বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারকে ২ হাজার ৪০০ ডলার করে এবং আহত ব্যক্তিদের ৬০০ ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজের সমন্বয়ক জ্যেষ্ঠ জেলা কর্মকর্তা কৈলাশ চন্দ্র পার্তে বলেন,  বিস্ফোরণের সময় কারখানাটিতে ২০০ থেকে ৩০০ জন কাজ করছিলেন। তবে ঘটনার সময় ঠিক কতজন ভেতরে ছিলেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিস্ফোরণের তীব্রতার কারণে কমপ্লেক্সের আশপাশের অন্তত ১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পানি ছিটাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা
ছবি: এএনআই

একজন পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল রাইস খান টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ভয়ে হুড়োহুড়ি করে বেরোতে গিয়ে পদদলিত হয়েও কারও কারও মৃত্যু হয়েছে।

এখন বেশ আতশবাজি ফুটানো হয়। কিন্তু অনেক কারখানাই মৌলিক নিরাপত্তার বিষয়টি মেনে চলতে ব্যর্থ হয় এবং আবার অনেকে অনুমতি না নিয়েই কারখানা চালায়।