ভারতে কাশির সিরাপ রপ্তানির আগে পরীক্ষা করাতে হবে
ভারত থেকে কাশির সিরাপ রপ্তানি করতে হলে তা আগাম পরীক্ষা করাতে হবে। ভারত সরকার কাশির সিরাপ রপ্তানিকারকদের জন্য এই নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। নতুন এই নির্দেশ আগামী ১ জুন থেকে কার্যকর করা হবে।
ভারতের ‘ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড’ (ডিজিএফটি) গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিয়মের কথা জানিয়ে বলেছে, কাশির সিরাপ রপ্তানি করার আগে রপ্তানিকারকদের সংশ্লিষ্ট সিরাপ উপযুক্ত কি না, সেই গুণমান পরীক্ষা করাতে হবে।
বাধ্যতামূলক সেই পরীক্ষা করাতে হবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত সরকারি পরীক্ষাগারে। সেখান থেকে পাওয়া ছাড়পত্রের ভিত্তিতে রপ্তানির অনুমতি পাওয়া যাবে। ২০২৩ সালের ১ জুন থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে।
কোন কোন নির্দিষ্ট পরীক্ষাগারে এই ব্যবস্থা থাকবে, তার তালিকাও বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে। এই সরকারি পরীক্ষাগারগুলো চণ্ডীগড়, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, গুয়াহাটির মতো দেশের বিভিন্ন অংশে অবস্থিত।
গত বছরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভারতীয় কাশির সিরাপ শিশুমৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যেমন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। মধ্য এশিয়ার উজবেকিস্তানে মারা গিয়েছিল ১৮ শিশু। এসব দেশের অভিযোগ, ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার কাশির ওষুধ খেয়ে ওই শিশুদের মৃত্যু হয়। সিরাপে বিষাক্ত রাসায়নিকের উপস্থিতি ধরা পড়ে কোনো কোনো দেশে।
ওইসব অভিযোগের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও সতর্কতা জারি করা হয়। তারপর থেকেই ভারত সরকার নড়েচড়ে বসে। বেশ কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। একাধিক সংস্থা বিদেশে পাঠানো সব কাশির ওষুধ বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। উৎপাদনও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০২২-২৩ সালে ভারত ১৭০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের কাশির সিরাপ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছে।