২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মিসড কলেই হাওয়া অর্ধকোটি

পৌনে দুই ঘণ্টার মধ্য ফোনে এল একাধিক ফোন ও মিসড কল। গ্রাহক কিছু ফোনে সাড়া দেন, কিছু কল উপেক্ষ করেন। এর মধ্যে হঠাৎ এল খুদে বার্তা। বার্তা দেখে লোকটির অবস্থা যায় যায়। কারণ, তার চলতি হিসাব থেকে নেই ৫০ লাখ। ঘটনাটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির।

এ ঘটনায় সিম সোয়াপ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অর্থ স্থানাস্তরের সময় ফোনে ওটিপি চালু রেখেছিলেন। সেই সময় একটি সমান্তরাল কলের মাধ্যমে অভিযুক্ত অপরাধীরা আইভিআরের মাধ্যমে ওটিপি শুনেছেন। কোনো এক পদ্ধতিতে দিল্লির ওই ব্যক্তির সিম কার্ডে অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।

ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, এ বছরের ১০ অক্টোবরে দিল্লির একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ লাখ রুপি সরিয়ে ফেলেছেন সাইবার অপরাধীরা। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে একাধিক মিসড কল পেয়েছিলেন তিনি। কিছু কলে সাড়া দেন, আর কিছু কল উপেক্ষা করেন। এরপরই তিনি লেনদেনের একটি বার্তা পান। লেনদেন নিয়ে প্রায় একই সময়ে তাঁর মুঠোফোনে একাধিক বার্তা এসেছিল। এরই মধ্য যা সর্বনাশ হওয়ার তা হয়ে গেছে। ওই ব্যক্তির চলতি হিসাব থেকে ৫০ লাখ রুপি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) ছাড়াই শুধু মিসড কলেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছে, এই কাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ঝাড়খণ্ডের জামতারা এলাকার। এর আগে ওই এলাকার অনেকে বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল।

তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের সন্দেহ, এ ঘটনায় সিম সোয়াপ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অর্থ স্থানাস্তরের সময় ফোনে ওটিপি চালু রেখেছিলেন। সেই সময় একটি সমান্তরাল কলের মাধ্যমে অভিযুক্ত অপরাধীরা আইভিআরের মাধ্যমে ওটিপি শুনেছেন। কোনো এক পদ্ধতিতে দিল্লির ওই ব্যক্তির সিম কার্ডে অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সন্দেহ, গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সঙ্গে সংযুক্ত মুঠোফোন নম্বরের জন্য একটি নকল (ডুপ্লিকেট) সিম সংগ্রহ করে থাকতে পারেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। এ ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নকল সিমে পাওয়া ওটিপি ব্যবহার করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে সাধারণভাবে টেলিফোন কিংবা মোবাইল নেটওয়ার্ক স্টাফ হিসেবে পরিচয় দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। অফারের লোভ দেখিয়ে গ্রাহক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা হিসেবে সিম কার্ড–সম্পর্কিত তথ্য কখনোই শেয়ার না করার পরামর্শ দেন। যেকোনো মুঠোফোন গ্রাহককে তাঁর মোবাইলে নেটওয়ার্কের অ্যাক্সেস সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিতভাবে ফোনে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকলে অবিলম্বে মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।