সিএএ আইন নির্বাচনের আগেই কার্যকর করা হবে: অমিত শাহ
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগেই নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করা হবে। সে জন্য প্রয়োজনীয় যা যা করা বাকি, তা ভোটের আগেই সেরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এ নিয়ে সংশয় বা সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ শনিবার এ কথা বলেন।
দিল্লিতে ইটি নাউ–গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এই কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, কারও নাগরিকত্ব কাটার জন্য নয়। ২০১৯ সালের ওই আইন তৈরি হলেও এত দিন তা রূপায়ণে নিয়ম বিধি ও আইনের ধারা প্রস্তুত করা হয়নি। প্রতি ছয় মাস অন্তর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা করার সময়সীমা বাড়িয়ে চলেছে। শেষবার সময় বাড়ানো হয়েছে গত জানুয়ারিতে।
অমিত শাহ বলেন, সিএএ ছিল কংগ্রেস সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি। কিন্তু তারা তা করেনি। দেশভাগের পর বিদেশে সংখ্যালঘুরা যখন নিপীড়িত হচ্ছিল, কংগ্রেস তখন বলেছিল তাদের আশ্রয় দেবে, নাগরিকত্ব দেবে। এখন তারা পিছিয়ে যাচ্ছে।
নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে যেসব নির্যাতিত হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, পারসি ও বৌদ্ধরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে এসেছেন, তাঁদের এই আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অমিত শাহ বলেন, মুসলমানদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। তাঁদের প্ররোচিত করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তাঁদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ এই আইনের উদ্দেশ্য কারও নাগরিকত্ব কাড়া নয়। বরং দেওয়া।
বিরোধীদের দাবি, সিএএ দেশের সংবিধানের পরিপন্থী। কারণ, ওই আইনে ধর্মীয় কারণে ভেদাভেদ করা হয়েছে। নিপীড়িত মুসলমান ও ওই ধর্মের বিভিন্ন ধারার অনুসারীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। বৈষম্য সৃষ্টির কারণে দেশজুড়ে ওই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলেছিল। সংঘর্ষও ঘটেছিল। দেশে–বিদেশে ওই আইন আলোড়নও ফেলেছিল।
এই অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন। যেমন তিনি বলেন, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি পরের ভোটে ৩৭০ আসন পাবে। জোট হিসেবে পাবে ৪০০–এর বেশি। এটাই দেয়ালের লিখন। কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধীরা বুঝে গেছে, তাদের আবার বিরোধী বেঞ্চেই বসতে হবে।
রাষ্ট্রীয় লোকদলের (আরএলডি) ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়ে এনডিএতে এবং সেই জোটে অকালিসহ অন্য কয়েকটি দলের সম্ভাব্য যোগদান প্রসঙ্গে শাহ বলেন, এনডিএতে যোগদান নিয়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে বিজেপির আলোচনা চলছে।