‘অফিস চেয়ারে’ বসে চালান অটোরিকশা

অটোরিকশার আসনে অভিনব চেয়ার
ছবি: অনুজ বানসালের টুইটার থেকে

আশপাশে খেয়ালি মানুষের অভাব নেই। তাঁরা কখন যে কী করে বসেন! কাজের ক্ষেত্রেও এ ধরনের দু-চারজনের দেখা পাওয়া যায়। কর্মক্ষেত্রে নিজের আসনটা তাঁরা নিজের পছন্দমতো বেছে নেন। তবে ভারতের বেঙ্গালুরুর এক অটোরিকশাচালকের আসনপ্রীতিটা আলাদা করে নজর কেড়েছে সবার।

এই অটোরিকশাচালক সচরাচর বিভিন্ন অফিসে ব্যবহার করতে দেখা যায়, এমন ধরনের চেয়ার দিয়ে তাঁর আসন তৈরি করে নিয়েছেন। অটোরিকশায় অভিনব এ আসনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত শুক্রবার রাতে এক্সে (সাবেক টুইটার) অদ্ভুতদর্শনের এ আসনে বসে গাড়ি চালানোর একটি ছবি পোস্ট করেন অনুজ বানসাল নামের এক ব্যক্তি। গতকাল রোববার রাত ৯টা নাগাদ ছবিটি দুই লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। ছবিটিতে লাইক পড়েছে তিন হাজারের বেশি।

‘আর্গানমিক’ চেয়ার নামে পরিচিত এ ধরনের আসন সাধারণত ভিডিও গেমার কিংবা দীর্ঘ সময় কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন, এমন ব্যক্তিরা ব্যবহার করে থাকেন। এমন চেয়ার ব্যবহারের উদ্দেশ্য হলো, দীর্ঘ সময় বসে থাকার পরও যাতে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। বিষয়টির দিকে লক্ষ রেখেই মূলত শরীরের সঙ্গে মানানসই এ চেয়ার তৈরি করা হয়ে থাকে। আবার অনেকক্ষণ বসে থাকার পরও যাতে কোমরে ব্যথা না হয়, সেভাবে এসব চেয়ারের উচ্চতা নির্ধারণ এবং পেছনের অংশ ও হাতলের নকশা করা হয়।

কিন্তু অটোরিকশাচালকের আসনে এ ধরনের চেয়ার দেখে পোস্টের নিচে মজার সব মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘কোমরের সুরক্ষার জন্য সহায়ক।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘কোমরের সুস্বাস্থ্য সবার কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।’

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘গেমিং চেয়ার! অটোচালক হওয়ার আগে অবশ্যই মনোযোগী গেমার ছিলেন।’ অন্য একজন লেখেন, ‘বসে কাজ করার স্বাস্থ্যঝুঁকি ঠেকায় আর্গানমিক চেয়ার।’ একজন তো অটোরিকশাটিরই নাম দিয়েছেন ‘আর্গানমিক অটো’।

অবশ্য বেঙ্গালুরুতে অটোরিকশাচালকদের এমন খেয়ালি কাণ্ড এবারই প্রথম নয়। এর আগে সম্ভবত উবারের মাধ্যমে অটোরিকশা ভাড়া করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন এক নারী। ঘটনাস্থলে এসে ওই যাত্রীকে না পেয়ে অটোরিকশাচালক খুদে বার্তায় জানান, ‘আমি পৌঁছে গেছি।’ কিছুক্ষণ পর তিনি আবার লেখেন, ‘আমি পৌঁছে গেছি।’ তবে যাত্রীর কাছ থেকে জবাব না পেয়ে চালক লেখেন, ‘সময় শেষ’ (আপনাকে আর দরকার নেই)।