ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিলেই কি যুক্তরাষ্ট্রে আদানির সমস্যা সমাধান
যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধাক্কা খেয়েছেন ভারতের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি। আদানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভারতের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে নানা প্রভাব ফেলছে। কেউ কেউ অবশ্য মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্ভবত আদানির বিষয়টির সমাধান হয়ে যাবে।
কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় উদ্যাপন করলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানি। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি ও অবকাঠামোগত প্রকল্পে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ৬২ বছর বয়সী এই ভারতীয় ধনকুবেরের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে প্রতারণা–সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এই অভিযোগের প্রভাব পড়তে পারে তার ১৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের বিশাল বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যে (যার মধ্যে বন্দর পরিচালনা এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন রয়েছে)। শুধু তা–ই নয়, আদানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সম্ভাব্য প্রভাব কিন্তু পড়তে পারে দেশে-বিদেশে বিস্তৃত তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষায়।
মার্কিন ফেডারেল কৌঁসুলিরা গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাঁর ব্যবসায়িক প্রকল্পের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার সময় তিনি এই তথ্য গোপন করেছিলেন যে ওই বরাদ্দ তিনি পেয়েছেন ২৫ কোটি ডলার ঘুষ দিয়ে।
ফেডারেল কৌঁসুলিদের আরও অভিযোগ, ২০ বছর ধরে ২০০ কোটি ডলারের মুনাফাযুক্ত চুক্তি পেতে আদানি ও তাঁর গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছেন।
আদানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে একে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এটা (ঘুষের অভিযোগটা) অনেক বড় (আকারের অভিযোগ)। আদানি এবং মোদি দীর্ঘদিন ধরে অবিচ্ছেদ্য। এটি ভারতের রাজনৈতিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে চলেছে।রঞ্জয় গুহঠাকুরতা, ভারতীয় সাংবাদিক
কিন্তু এই পুরো বিষয়টা ইতিমধ্যে আদানি গোষ্ঠীর পাশাপাশি ভারতীয় অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
গত বৃহস্পতিবার ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বাজারমূল্য খুইয়েছে আদানি গোষ্ঠীর অধীন প্রতিষ্ঠানগুলো। এর ফলে তার ১০টি প্রতিষ্ঠানের কম্বাইন্ড ক্যাপিটাল ক্যাপিটালাইজেশন বা সম্মিলিত বাজার মূলধন ১৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সংস্থা ‘আদানি গ্রিন এনার্জি’র তরফে জানানো হয়েছে, তারা ৬০ কোটি ডলারের বন্ড অফার নিয়ে আর এগোবে না।
এদিকে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রভাব ভারতের ব্যবসাবাণিজ্য ও রাজনীতিতে কতটা পড়তে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় অবকাঠামো ব্যবসায়ী গৌতম আদানির সঙ্গে এই দেশের অর্থনীতির গভীর যোগ রয়েছে। তিনি ১৩টা বন্দর (৩০ শতাংশ বাজার শেয়ার), সাতটি বিমানবন্দর (যাত্রী ট্র্যাফিকের ২৩ শতাংশ) পরিচালনা করেন। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিমেন্টের ব্যবসা (বাজারের ২০ শতাংশ) তাঁর।
নরেন্দ্র মোদি এবং গৌতম আদানি দুজনই ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে উঠে এসেছেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন থাকার সময় থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে সমালোচকেরা আদানি গোষ্ঠীর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যকে ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজম’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন।
ছয়টি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী আদানি গ্রুপ, ভারতের জ্বালানি খাতের বৃহত্তম বেসরকারি ‘খেলোয়াড়’। একই সঙ্গে তিনি গ্রিন হাইড্রোজেনের খাতে পাঁচ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ৮ হাজার কিলোমিটার (৪ হাজার ৯৭০ মাইল) দীর্ঘ প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপলাইনও পরিচালনা করে আদানি গোষ্ঠী।
গৌতম আদানি ভারতের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছেন। ভারতের বৃহত্তম বস্তির পুনর্নির্মাণও করছে তাঁর গোষ্ঠী। গৌতম আদানির অধীন সংস্থাগুলো ৪৫ হাজারের বেশি লোককে নিয়োগ করলেও তাঁর ব্যবসা কিন্তু দেশব্যাপী লাখ লাখ মানুষকে প্রভাবিত করে।
গৌতম আদানির বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার তালিকায় রয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় কয়লার খনি পরিচালনা, মরক্কোর বিমানবন্দর পরিচালনা ও জ্বালানি প্রকল্প। তানজানিয়া এবং কেনিয়াজুড়ে ১০০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের অবকাঠামোগত প্রকল্পের ওপরেও আদানি গোষ্ঠীর নজর রয়েছে।
ভারতীয় এই ব্যবসায়ীর বিস্তৃত সাম্রাজ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতিগত অগ্রাধিকারগুলোকে ঘনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত করে। উদাহরণস্বরূপ অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সাম্প্রতিক সময়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর মনোনিবেশ।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি এবং গৌতম আদানি দুজনই ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে উঠে এসেছেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন থাকার সময় থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করে সমালোচকেরা আদানি গোষ্ঠীর ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যকে ‘ক্রোনি ক্যাপিটালিজম’ (এমন একধরনের অর্থনীতি, যেখানে রাজনৈতিক যোগাযোগের কারণে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশেষ সুবিধা পায়) হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন।
কিন্তু এই সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও গৌতম আদানি উন্নতি করেছেন। একই সঙ্গে যেকোনো সফল ব্যবসায়ীর মতো তিনি অনেক বিরোধী নেতার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছেন এবং তাঁদের রাজ্যে বিনিয়োগও করেছেন।
এই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী নিয়ে ব্যাপকভাবে লেখালেখি করেছেন ভারতীয় সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা। তিনি বলেন, এটা (ঘুষের অভিযোগটা) অনেক বড় (আকারের অভিযোগ)। আদানি এবং মোদি দীর্ঘদিন ধরে অবিচ্ছেদ্য। এটি ভারতের রাজনৈতিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে চলেছে।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ২০২৩ সালে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং জালিয়াতির অভিযোগ তোলার পর গৌতম আদানি নিজের ভাবমূর্তি পুনর্নির্মাণ করার চেষ্টায় প্রায় দুই বছর ব্যয় করেছেন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে সেই অভিযোগের কারণে মার্কেট সেল-অফ (মার্কেট সেল-অফ হলো বিপুলসংখ্যক সিকিউরিটিজের দ্রুত বিক্রয়, যার ফলে তার দাম কমে যায়) হয়েছে এবং সে বিষয়ে ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি) তদন্তও করছে।
ভারতে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়া কোনো নতুন খবর নয়; কিন্তু যে পরিমাণ অর্থের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি বিস্ময়কর। আমার সন্দেহ, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন কয়েকজনের নাম রয়েছে, যাঁরা (ঘুষের) প্রাপক ছিল।নির্মাল্য কুমার, অধ্যাপক, সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি
আমেরিকান থিঙ্কট্যাংক উইলসন সেন্টারের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বিবিসিকে বলেন, গৌতম আদানি তাঁর ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। দেখাতে চাইছেন যে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তাঁর বিরুদ্ধে তোলা আগের জালিয়াতির অভিযোগগুলো সত্য ছিল না। তাঁর সংস্থা এবং তাঁদের সব ব্যবসা আসলে বেশ ভালোভাবেই চলছিল। তিনি আরও বলেন, গত এক বছর বা তার বেশি সময়ে বেশ কয়েকটা নতুন চুক্তি এবং বিনিয়োগ হয়েছে। তাই এই বিলিয়নেয়ারের কাছে যিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আগের অভিযোগের ফলে সম্ভাব্য ক্ষতি ঝেড়ে ফেলতে খুবই ভালোভাবে কাজ করেছেন এটা (যুক্তরাষ্ট্রে দায়ের হওয়া অভিযোগ) একটা আঘাত মাত্র।
আপাতত দেশে মূলধন সংগ্রহ করার বিষয়টা গৌতম আদানির নগদ–সাশ্রয়ী প্রকল্পগুলোর জন্য ‘চ্যালেঞ্জিং’ বলে প্রমাণিত হতে পারে।
বাজার–বিশ্লেষক অম্বরীশ বালিগা বিবিসিকে বলেন, এটা যে কতটা গুরুতর তা বাজারে প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যায়। এর পরেও বড় প্রকল্পগুলোর জন্য তহবিল সুরক্ষিত করতে সক্ষম হবে আদানি গোষ্ঠী, তবে একটু বিলম্ব হতে পারে।
তবে সাম্প্রতিক অভিযোগগুলো গৌতম আদানির বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় একটি বাধা সৃষ্টি করতে পারে। ইতিমধ্যে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থের চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে কেনিয়া। বাংলাদেশে বিতর্কিত জ্বালানি চুক্তিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তিনি।
সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির লি কং চিয়ান স্কুল অব বিজনেসের অধ্যাপক নির্মাল্য কুমার বিবিসিকে বলেন, এটা (ঘুষের অভিযোগ) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কিত তার বাণিজ্যের আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বন্ধ করবে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, এর প্রভাব আর কী পড়তে পারে, বিশেষত রাজনৈতিক দিক থেকে।
বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী গৌতম আদানিকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন এবং এই ইস্যু নিয়ে সংসদ তোলপাড় করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। এটা অবশ্য তাঁর কাছ থেকে খুব একটা অপ্রত্যাশিত নয়।
অধ্যাপক নির্মাল্য কুমারের মতে, ‘ভারতে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়া কোনো নতুন খবর নয়; কিন্তু যে পরিমাণ অর্থের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি বিস্ময়কর। আমার সন্দেহ, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন কয়েকজনের নাম রয়েছে, যাঁরা (ঘুষের) প্রাপক ছিল। ভারতের রাজনীতির ময়দানে এটা (ঘুষ দেওয়ার অভিযোগবিষয়ক পুরো মামলা) প্রতিধ্বনিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন আরও অনেক কিছু আসতে চলেছে।’
এই বিষয়টা সহজেই অনুমান করা যায় যে গৌতম আদানির গোষ্ঠী শীর্ষ স্তরের আইনি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তৈরি করবে।
মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘আপাতত আমাদের কাছে শুধু অভিযোগ রয়েছে, এখনো অনেক কিছুই উন্মোচিত হওয়া বাকি রয়েছে।’ তিনি মনে করেন, এর ফলে মার্কিন-ভারত ব্যবসায়িক সম্পর্ক তদন্তের মুখে পড়তে পারে। তবে তার কোনো উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ার সম্ভাবনা অবশ্য কম। বিশেষত শ্রীলঙ্কায় একটি বন্দর প্রকল্পের জন্য গৌতম আদানির সঙ্গে সাম্প্রতিক ৫০ কোটি ডলারের মার্কিন চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে এ কথাগুলো বলেছেন কুগেলম্যান। গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও কিন্তু বৃহত্তর দিক থেকে মার্কিন-ভারত বাণিজ্য এখনো সম্পর্ক দৃঢ়।
কুগেলম্যানের কথায়, ‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্ক কিন্তু বৃহৎ এবং বহুমুখী। ভারতীয় অর্থনীতির একজন বড় খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হন এমন কারও বিরুদ্ধে এ–জাতীয় গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আমি মনে করি না যে এই বিষয়কে (ভারত-মার্কিন বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রভাব) অতিরঞ্জিত করা উচিত।’
এ ছাড়া মার্কিন-ভারত প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকা সত্ত্বেও গৌতম আদানিকে নিশানা করা যাবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, এটা নির্ভর করবে নতুন প্রশাসন এই মামলাগুলো চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় কি না, তার ওপর।
অম্বরীশ বালিগা বিশ্বাস করেন, এটা আদানি গোষ্ঠীর জন্য চরম বিপর্যয়ের বা হতাশার বিষয় নয়। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো মনে করি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এবং ব্যাংকগুলো তাদের (আদানি গোষ্ঠীকে) সমর্থন করবে যেমনটা হিন্ডেনবার্গের রিসার্চ প্রকাশের পর করেছিল। এর কারণ হলো তারা (আদানি গোষ্ঠী) বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং ভারতীয় অর্থনীতির দিক থেকে যে খাত বেশ ভালো করছে তার অংশ।’
বালিগার কথায়, ‘বাজারে যে ধারণা রয়েছে, তা হলো (ডোনাল্ড) ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটা (অভিযোগ) সম্ভবত আর থাকবে না এবং বিষয়টার সমাধান হয়ে যাবে।’