গাড়ির গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়ান ‘টারজান’

দৌড়াচ্ছেন বিহারের ‘টারজান’ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

ব্যায়াম, দৈহিক ফিটনেসের প্রতি রাজা যাদবের আগ্রহ শৈশব থেকে। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে দেওয়া তাঁর কিছু ভিডিও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। যাদবের শক্তি এবং ক্রীড়াসুলভ নানা কসরতের অসংখ্য ভিডিও নেট–দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।

আমাদের অনেকের মনে শৈশবে দেখা ‘টারজান’ চরিত্রটি গেঁথে আছে। তবে সিনেমার এই টারজান চরিত্রটি কাল্পনিক। সেই টারজান হচ্ছে এক ‘বন্য শিশু’, যে বেড়ে উঠেছে আফ্রিকার জঙ্গলে। সে অনায়াসে জঙ্গলের এক গাছ থেকে আরেক গাছে যাচ্ছে। জঙ্গলের বন্য প্রাণীদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব নজরকাড়া। দৌড়ে তার গতিতে সে অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

সেই রকম বাস্তবের এক ‘টারজান’ বেড়ে উঠেছেন ভারতের বিহার রাজ্যের পশ্চিম চম্পারনে। থর আর স্কোরপিওর মতো স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেলস (এসইউভি) গাড়ির গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৌড়াচ্ছেন এই বিহারের ‘টারজান’।

দৈহিক ফিটনেসের প্রতি আগ্রহী বিহারের রাজা যাদবের এমন বেশ কিছু ভিডিও দেওয়া হয়েছে ইনস্টাগ্রামে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের নজরে আসেন তিনি। প্রতিটি ভিডিও তাঁর শক্তি আর ক্রীড়াসুলভ মনোভাবের দারুণ প্রদর্শন। প্রতিটি ভিডিওতে তাঁকে দৌড়াতে, নিবিষ্ট চিত্তে ব্যায়াম করতে দেখা গেছে। আর তাঁর এসব কর্মকাণ্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পুরোনো সেই টারজানের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।

রাজা যাদবের ভক্তরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন, যাতে তাঁর প্রতি তাঁদের অনুরাগ আর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে। একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী মন্তব৵ করেছেন, ‘তোমার গতি চিতা বাঘের মতো।’

আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘কঠোর পরিশ্রম করে যাও, তুমি আরও অনেক দূর যাবে।’ এমন নানা কথায় ভরে গেছে মন্তব্যের ঘর।

১৯৬০–এর দশকে এনবিসি টেলিভিশনে প্রচারিত সিরিজ ‘টারজান’–এ মূল চরিত্রে অভিনয় করেন দীর্ঘদেহী সুঠাম পেশির অধিকারী রন ইলি। তিনি চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মারা যান। অবশ্য রন ইলি অলিম্পিক সোনাজয়ী সাঁতারু জনি ওয়েসমুলারের মতো অতটা খ্যাতি পাননি। ১৯৩০ ও ’৪০–এর দশকে টারজান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জনি।