চলমান পরিস্থিতিতে ভারতকে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে: শশী থারুর

কংগ্রেস–দলীয় লোকসভার সদস্য শশী থারুরছবি: এএনআই

বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে ভারতের উচিত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে থাকা। আজ বুধবার সংসদ ভবন চত্বরে এ মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা ও সংসদ সদস্য শশী থারুর।

ভারতের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে শশী থারুর বলেন, ‘ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশও। বাংলাদেশের জনগণের এই অধিকার থাকা উচিত যে তাঁদের ভবিষ্যৎ তাঁরাই নির্ধারণ করবেন। এ জন্য আমাদের উচিত তাঁদের পাশে থাকা।’

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে শশী থারুরকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। এই পালাবদল তিনি কীভাবে দেখছেন—জানতে চাওয়া হলে কেরালার এই কংগ্রেস–দলীয় সংসদ সদস্য বলেন, ‘অবস্থা কী, তা সবারই জানা। কয়েক দিন ধরে পরিস্থিতি টালমাটাল। এটা ঠিক, যেখানেই এমন ধরনের জনপ্রিয় বিপ্লব হয়, সেখানে দুই–তিন দিনের মধ্যে সব স্বাভাবিক বা সবকিছুর সমাধান হয়ে যায় না। তবু আমরা চাই শান্তি বা সমাধান দ্রুত হোক। তারপর আমরা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ও আমাদের বন্ধন নিয়ে চর্চা করব।’

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেবেন ঠিক হয়েছে। সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শশী বলেন, ‘উনি খুব ভালো মানুষ। তাঁকে আমি অনেক দিন ধরেই জানি। নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। গোটা পৃথিবী তাঁকে সম্মান করে। তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। আমার তো মনে হয়, তিনি বাংলাদেশকে স্থিতিশীল করে তোলার যোগ্য, এভাবেই লোকে তাঁকে দেখবে।’

হাসিনার দেশত্যাগের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু মন্দির ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, ‘এ ধরনের দু–একটা দুর্ঘটনা যে ঘটছে না, তা নয়। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও দেখতে হবে, দাঙ্গার মধ্যেই বাংলাদেশের মুসলমানেরা হিন্দুদের বাড়ি ও মন্দির রক্ষা করছেন। এমন খবর আমরা পড়ছি। খারাপের পাশাপাশি ভালো মানুষও থাকেন, যাঁরা মনুষ্যত্বের পরিচয় দিয়ে মানুষকে রক্ষা করেন।’

এসব ঘটনার নেপথ্যে জামায়াত ও আইএসআইয়ের হাত থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শশী বলেন, ‘ইসলামি মৌলবাদ ভারতের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে প্রতিদিন এ নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর ভারতের পক্ষে হিতকর নয়। কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরা দরকার। তারপর ঠিক করা যাবে, ভারতের মনোভাব কেমন হওয়া উচিত।’

শশী থারুর স্বীকার করেন, প্রতিবেশী দুই–তিনটি দেশে ধর্মীয় মৌলবাদ চিন্তার বিষয়। তবে এখনই তা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। ভারতের উচিত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে থাকা।