পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় দানা আঘাত হানবে কাল, ৪ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কলকাতার আকাশ কালো মেঘে ঢাকাছবি: ভাস্কর মুখার্জি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় রূপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও ওডিশার পুরী উপকূলের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। আগামীকাল বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোরের মধ্যে এটি হতে পারে। এই ঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের ৯টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। রাজ্য সরকার এরই মধ্যে এসব জেলায় বুধ থেকে শনিবার পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার হবে। ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুরা, ঝাড়গ্রাম ও কলকাতা জেলা।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দীঘাসহ দক্ষিণ পরগনার সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে।

এদিকে রাজ্য সরকার এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাজ্যের গোটা সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলেদের অবিলম্বে মাছ ধরা বন্ধ করে তীরে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নিম্ন এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থান বা সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে খাদ্যদ্রব্য দ্রুত পৌঁছে দিতে সার্বিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। রেশনে মজুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য। রেশন ডিলারদের পর্যাপ্ত খাদ্যদ্রব্য মজুত করে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে যাওয়া গাছপালা যাতে দ্রুত সরিয়ে ফেলা যায়, সে জন্য বিশেষ দল তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে কলকাতাসহ রাজ্যের বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ এবং বিদ্যুৎ বিভাগকে এই ঝড় মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।