ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৩, আহত ৪০
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪০ জন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজ্যের বিজয়নগরম জেলায় দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জেলার হাওড়া-চেন্নাই রেললাইনে এ দুর্ঘটনার পর ১৮টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। ২২টি ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন (ডাইভার্ট) করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, সংকেত না পাওয়ায় বিশাখাপট্টনম-পালাসাগামী যাত্রীবাহী একটি ট্রেন রেললাইনে থেমে ছিল। এ সময় যাত্রীবাহী আরেকটি ট্রেন পেছন দিক থেকে এসে থেমে থাকা ট্রেনটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় তিনটি কোচ লাইনচ্যুত হয়।
ভারতের রেলওয়ের ভাষ্য, মনুষ্যত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
ট্রেন দুর্ঘটনায় মোট ১৩ জনের নিহত হওয়ার তথ্য আজ সোমবার সকালে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় জেলা প্রশাসন জানায়, দুর্ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁরা সবাই অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, লাইনচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলো ছাড়া বাকি সবকিছুই গতকাল মধ্যরাতের মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে সরানো হয়েছে।
দুর্ঘটনায় যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী।
আর যাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে আড়াই লাখ রুপি করে দেওয়া হবে। সামান্য আহত প্রত্যেক ব্যক্তি পাবেন ৫০ হাজার রুপি করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জন্য তিনি শোক প্রকাশ করেছেন।
দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারের জন্য আরও দুই লাখ রুপি করে অর্থসহায়তা ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়া আহত প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
প্রায় পাঁচ মাস আগে ভারতের ওডিশায় ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এতে ২৮০ জনের বেশি যাত্রী নিহত হয়েছিলেন।