জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক ব্যক্তি ও সংগঠনকে সন্ত্রাসী তকমা দিল ভারত

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত লোগো
সংগৃহীত

ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের দুটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকেও সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিগত কয়েক দিনে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব ঘোষণা আসে।

জম্মু ও কাশ্মীরে নিষিদ্ধ হওয়া দুটি সংগঠন হলো দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) ও পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট। গত বৃহস্পতিবার টিআরএফকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সংগঠনটি পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার স্থানীয় শাখা।

অপরদিকে গত শুক্রবার পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পাকিস্তানভিত্তিক সহিংস গোষ্ঠী জয়শ-ই-মুহাম্মদ হয়ে সংগঠনটি জম্মু-কাশ্মীরে কাজ করছিল। তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, রাজনীতিক ও সুশীল সমাজের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছিল।

ভারত সরকারের সন্ত্রাসী তকমা দেওয়া জম্মু ও কাশ্মীরের ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন আইজাজ আহমেদ আহাঙ্গার ওরফে আবু উসমান আল-কাশ্মীরি, মোহাম্মদ আমিন খুবায়াব ওরফে আবু খুবায়াব, আসিফ মকবুল দার ও আরবাজ আহমেদ মীর। গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তাঁদের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ের ভাষ্যমতে, আবু উসমান আল-কাশ্মীরি ভারতে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের শাখা খোলার চেষ্টা করছেন। সন্ত্রাসী চিহ্নিত হওয়া আরেকজন আবু খুবায়াব বর্তমানে পাকিস্তানে। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাড়াতে তিনি বর্তমানে সক্রিয়।

অপরদিকে আরবাজ আহমেদ মীর লস্কর-ই-তাইয়েবার হয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনিও বর্তমানে পাকিস্তানে রয়েছেন। আর আসিফ মকবুল দার বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন। সেখান থেকে কাশ্মীরের যুবকদের প্রভাবিত করছেন বলে অভিযোগ মন্ত্রণালয়ের।  

এদিকে নিষিদ্ধ করা ও সন্ত্রাসী তকমা দেওয়ার বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি, সংগঠন বা সংশ্লিষ্ট কারও পক্ষ থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সচরাচর এ ধরনের অভিযোগ আনা হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য পাওয়া যায় না।