২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

আরজি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন

জাগো নারী জাগো বহ্নি শিখা’র নারী অধিকার কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। সিজিও কমপ্লেক্স, কলকাতাছবি: এএনআই

কলকাতায় আরজি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আজ সোমবার অভিযোগ গঠন করেছেন শিয়ালদহর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আসামি সঞ্জয় রায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

১১ নভেম্বর এই মামলার শুনানি শুরু হবে।

গত ৭ অক্টোবর কলকাতার শিয়ালদহের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আজ অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালতের আদেশের পর সঞ্জয় বেরিয়ে আসার সময় আঙুল তুলে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমি নির্দোষ স্যার। আমি এত দিন চুপ করে ছিলাম। ওরা আমাকে কিছুই বলতে দেয়নি।’

এর আগে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার দিন সঞ্জয় বিচারকের সামনে হাত জোড় করে বলেছিলেন, ‘স্যার, আমি কিছু বলতে চাই। আগের দিনও বলতে পারিনি। কিছু বলতে না পারলে তো সব দোষ আমার ঘাড়ে পড়বে।’ এরপর বিচারক বলতে বললে সঞ্জয় বলেন, ‘হুজুর, আমি কিছুই করিনি। ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’ এরপর সঞ্জয় রায়কে নিয়ে যাওয়া হয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের কাছে।

ঘটনার দিন ৯ আগস্ট শেষরাত বা ১০ আগস্ট ভোররাতে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে। সিবিআই এই হত্যা মামলার তদন্তে নেমে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। বলেছে, বহু প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে সিবিআই আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও সংশ্লিষ্ট টালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে।

৯ আগস্ট গভীর রাতে আরজি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসক দায়িত্বরত অবস্থায় ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন। এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে রাজ্যব্যাপী শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়, যা এখনো চলছে।

আজ বিকেলেও কলকাতার ’জাগো নারী জাগো বহ্নি শিখা’র উদ্যোগে সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে সিবিআই দপ্তর অভিমুখে প্রতিবাদ মিছিল করে নারী অধিকারকর্মীরা। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।