কলকাতায় পুলিশ-আইএসএফ-তৃণমূল ত্রিমুখী সংঘর্ষ, আইএসএফের বিধায়ক গ্রেপ্তার
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় আইএসএফের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার বিকেলে কলকাতার ধর্মতলা ও ভাঙ্গরে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার আইএসএফের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী ছিল। এ উপলক্ষে ধর্মতলায় বিশেষ সভার আয়োজন করে আইএসএফ। গতকাল শুক্রবার রাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙ্গরের হাতিশাল বাজারে আইএসএফের কর্মীরা সমাবেশের পতাকা টাঙাতে গেলে তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা বাধা দেন। এ নিয়ে রাতেই ভাঙ্গরে ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়।
শনিবার সকালে আইএসএফের কর্মীরা ট্রাকে করে ধর্মতলার সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। ভাঙ্গরের ওপর দিয়ে আসার পথে হাতিশালার মোড়ে দলীয় পতাকা টাঙাতে গেলে আবার তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এরপর সেখানেই শুরু হয় পুলিশ-তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ। এ সময় নৌশাদ সিদ্দিকির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষের খবর ধর্মতলায় পৌঁছালে সেখানে অবস্থানরত আইএসএফের কর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ধর্মতলায় যান চলাচল। অবরোধ তুলতে এগিয়ে এলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় আইএসএফের কর্মী–সমর্থকদের। একপর্যায়ে ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালান তাঁরা। এ সময় ধর্মতলার পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষও ভাঙচুর করেন আইএসএফের কর্মীরা। ধর্মতলা হয়ে ওঠে এক যুদ্ধক্ষেত্র। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আইএসএফের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় লালবাজার পুলিশ হেড কোয়ার্টারে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিপেটা করে। একপর্যায়ের কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। এতে বেশ কিছু আইএসএফের কর্মী–সমর্থক আহত হন। সংঘর্ষের মধ্যে বোমাবাজিও হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন। এ সংঘর্ষের জন্য ভাঙ্গরের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে দায়ী করে তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন আইএসএফের কর্মীরা।