মধ্যপ্রদেশে ভবনে আগুন: প্রেমে প্রত্যাখ্যাত এক যুবককে সন্দেহ
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি ভবনে আগুন লেগে সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ২৭ বছর বয়সী এক যুবককে সন্দেহ করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, শুভম দীক্ষিত নামের ওই তরুণ প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর ওই পার্কিংয়ে থাকা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।
এ ঘটনায় দায়ী করে গতকাল শনিবার রাতে শুভমের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশের বরাতে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এসব তথ্য জানিয়েছে।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি তিনতলা ভবনে আগুন লেগে সাতজনের মৃত্যু হয়। প্রথমে ভবনে পার্ক করে রাখা মোটরসাইকেল ও গাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। পরে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার দিবাগত রাতে ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শুরুতে পুলিশ বলেছিল, প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থায় শর্টসার্কিটের কারণে ভবনে আগুন ধরে যায়।
তবে পুলিশ এখন বলছে এ আগুন লাগার ঘটনায় শুভম দীক্ষিত নামের এক যুবককে সন্দেহ করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই যুবক প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর তাঁর পছন্দের মেয়েটির গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। গাড়িটি ওই ভবনের পার্কিংয়ে রাখা ছিল। পরে ওই গাড়ি থেকে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। শুভমকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
এর আগে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিজয় নগর পুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক তেহজিব কাজি বলেছিলেন, ইলেকট্রিক মিটারে শর্টসার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তা থেকে মুহূর্তের মধ্যে পার্কিং এলাকার গাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং পরে তা ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। বেশির ভাগ লোকই শ্বাসরোধ হয়ে মারা গেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। ভবনের বাসিন্দাদের কেউ কেউ জীবন বাঁচাতে ব্যালকনি থেকে লাফ দেন। তবে তা করতে গিয়ে অনেকে আহত হন।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে চার লাখ রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এক টুইটার পোস্টে চৌহান লেখেন, ‘আমি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। দোষী ব্যক্তিদের কঠোর সাজা পেতে হবে। মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে চার লাখ রুপি করে দেওয়া হবে।’
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ছিল না। এ ব্যাপারে পিটিআইর পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে পুলিশ কমিশনার মিশ্রা বলেন, ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৩০৪ ধারার আওতায় এফআইআর হয়েছে।