২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বিপিনকে প্রতিরক্ষাপ্রধান করতে আইন সংশোধন করে বিজেপি সরকার

বিপিন রাওয়াত
ফাইল ছবি: এএফপি

ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের জীবনাবসান হলো বেদনাদায়ক এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে। আজ বুধবার তামিলনাড়ুতে তাঁকে বহনকারী কপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ৬৩ বছর বয়সী এই সামরিক কর্মকর্তা চার দশক ভারতের সামরিক বাহিনীর হয়ে কাজ করেছেন।

ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিপিন রাওয়াতের বাবা লক্ষ্মণ সিংও ছিলেন সেনা কর্মকর্তা। ১৯৫৮ সালে জন্ম নেওয়া বিপিন পড়াশোনা করেছেন হিমাচল প্রদেশের শিমলার সেন্ট এডওয়ার্ড স্কুলে। ১৯৭৮ সালে দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশন্ড লাভ করেন তিনি। যোগ দেন ফিফথ ব্যাটালিয়ন অব ইলেভেন গোর্খা রাইফেলসে। ওই বছরই ‘সোর্ড অব অনার’ সম্মানে ভূষিত হন তিনি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত ১৪৮ জন এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ভারতের সামরিক বাহিনীর আরও কিছু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ড অ্যান্ড জেনারেল স্টাফ কলেজে উচ্চতর সামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বিপিন রাওয়াত।

ভারতের উত্তরাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য বিপিন রাওয়াতের খ্যাতি রয়েছে। ২০১৫ সালে সন্ত্রাস দমনে মিয়ানমার সীমান্তের ভেতরে ঢুকে অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই অভিযানে সফলও হয়েছিল তারা। এ ছাড়া ২০১৬ সালে পাকিস্তান সীমান্তের ভেতরে যে হামলা চালানো হয়েছিল, সেই পরিকল্পনাকারীদের একজন ছিলেন বিপিন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমান্ডার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম জম্মু-কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশ। এ ছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে কাজ করেছেন তিনি। সেখানেও কাজের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন বিপিন।

তবে কিছু বিতর্কও রয়েছে। যেমন দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে সেনাপ্রধান হয়েছিলেন বিপিন রাওয়াত। এরপর ২০১৯ সালে তাঁকে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ করা হয়। এ জন্য সামরিক আইন সংশোধন করে বয়সসীমা বাড়াতে হয় ভারতের বর্তমান বিজেপি সরকারকে।