বাংলাদেশি ক্রেতা না থাকায় কলকাতার ঈদবাজারে মন্দা

বাংলাদেশি ক্রেতাদের অনুপস্থিতিতে কলকাতা নিউমার্কেটের দোকান অনেকটাই ক্রেতাশূন্য। কলকাতা।
ছবি: প্রথম আলো

প্রতিবছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটক কেনাকাটা করতে কলকাতা যান। করোনার কারণে সীমান্ত বন্ধ থাকায় কলকাতার নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন বাজারে বাংলাদেশি ক্রেতার অভাবে বিক্রিতে মন্দা যাচ্ছে কলকাতার ব্যবসায়ীদের। একসময় বাংলাদেশি ক্রেতাদের পদচারণে মুখর এলাকাগুলোতে ব্যবসা চাঙা ছিল। গত তিন ঈদের মতো এবারও বাংলাদেশি পর্যটকেরা কলকাতায় আসছেন না, তাঁদের অনুপস্থিতিতে মার্কেটগুলোর অনেকটাই ক্রেতাশূন্য।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদুল আজহা সামনে রেখে অধিকাংশ বাজারই ফাঁকা। বিক্রেতারা পণ্যের পসরা নিয়ে বসলেও সেভাবে আসছেন না ক্রেতারা। কলকাতার নিউমার্কেট, জাকারিয়া স্ট্রিট, পার্ক স্ট্রিট, সদর স্ট্রিটের দোকানপাটে নেই সেই চিরচেনা ভিড়। ধর্মতলা থেকে গড়িয়াহাট, শিয়ালদহ থেকে রাজাবাজার, বেলগাছিয়া-পার্ক সার্কাস থেকে এন্টালি-খিদিরপুর—সর্বত্র একই চিত্র।

নিউমার্কেটের নামী কাপড়ের দোকান ‘মিলন’–এর কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘আমাদের দোকান বাংলাদেশি ক্রেতাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। আমাদের ৮০ শতাংশ ক্রেতাই বাংলাদেশি। বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য ১২ মাসই জমজমাট থাকত দোকান। লকডাউন শুরু হওয়ার পর কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটক আসা বন্ধ থাকায় বিক্রিবাট্টা নেই বললেই চলে।’

কাপড় ব্যবসায়ী ভূষণ গুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘সত্যিই আমাদের এই নিউমার্কেট এলাকার দোকানপাট টিকে আছে বাংলাদেশের ক্রেতাদের জন্য। শুধু দোকানপাট কেন এখানকার হোটেলপাড়াও টিকে আছে বাংলাদেশের পর্যটকদের হাত ধরে। তারাই আমাদের মূল ক্রেতা। এখন বাংলাদেশি ক্রেতা নেই। আমরা হতাশ।’

শুধু মার্কেটগুলোই নয়, প্রতিবছর ঈদের সময় বাংলাদেশি ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা থাকা হোটেলপাড়া এখন সুনসান। এসব এলাকার আবাসিক হোটেল এখন কার্যত ফাঁকা। পর্যটক না থাকায় অধিকাংশ কর্মচারী ছুটিতে গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। শুধু বাংলাদেশি নয়; ঈদের বাজার করতে ভারতের অন্য রাজ্যের মানুষও এবার কলকাতা আসেননি।

মার্কুইস স্ট্রিটের হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশি পর্যটক না আসায় হোটেল ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসায়ও ধস নেমেছে।