পশ্চিমবঙ্গে এবার পৃথক ‘বঙ্গভূমি’ রাজ্যের দাবি

বিজেপি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ভেঙে ‘উত্তরবঙ্গ’ ও ‘জঙ্গলমহল’ নামে দুটি আলাদা রাজ্য গড়ার দাবি উঠেছে আগেই। এবার এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি নাম। মতুয়া সম্প্রদায়ের বিজেপি সমর্থকদের একাংশ নতুন করে দাবি তুলেছে, মতুয়াদের নিয়ে নতুন রাজ্য বঙ্গভূমি গড়ার। তবে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পক্ষ থেকে এমন দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার মতুয়া অধ্যুষিত হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার পৃথক বঙ্গভূমি গড়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল নিয়ে যদি আলাদা রাজ্যের দাবি উঠতে পারে, তাহলে নদীয়া ও বনগাঁর ১২টি বিধানসভা আসন নিয়ে উদ্বাস্তুদের জন্য পৃথক বঙ্গভূমি রাজ্য গঠনের দাবি উঠবে না কেন?

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে অসীম সরকার আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামগ্রিক উদ্যোগের প্রশংসা করি। তবে শুধু বিজেপি করার জন্য বিভিন্ন স্তরের কর্মী-সমর্থকদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। কোনো রাজ্যের শাসক ভালো হলেও তাঁদের পারিষদেরা সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা উপলব্ধি করতে না পারলে সেখানে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে।

এর আগে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা পৃথক উত্তরবঙ্গ ও বাঁকুরার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি তুলেছেন। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং ও মালদহ জেলা নিয়ে উত্তরবঙ্গ রাজ্য গড়তে চান জন বারলা। আর পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর আর ঝাড়গ্রাম জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় জঙ্গলমহল রাজ্য গড়ার দাবি উঠেছে।

আরও পড়ুন

তবে এসব দাবি খারিজ করে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহিত রায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে আলাদা রাজ্য গড়ার দাবি আদৌ সমর্থনযোগ্য নয়। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে উন্নয়নের অভাব রয়েছে। মানুষ হতাশা থেকে এমন দাবি তুলছেন।

পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করে পৃথক রাজ্যের দাবির সমালোচনা করেছেন নিখিল ভারত বাঙালি সমন্বয় সমিতির সভাপতি সুবোধ বিশ্বাস, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক মহিতোষ বৈদ্যসহ বিভিন্ন নেতারা। জাতীয় কংগ্রেস, বাম দল ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস আগে থেকেই এমন দাবির বিরোধীতা করে আসছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, অখণ্ড থাকবে পশ্চিমবঙ্গ। প্রয়োজনে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে এসব আন্দোলন। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও বলে দিয়েছেন, তাঁরা অখণ্ড পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে।

আরও পড়ুন