ভারতের রাজস্থানের উদয়পুর শহরে দরজি কানহাইয়া লালকে (৪৮) হত্যার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (এনআইএ) হত্যার তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। হত্যাকারীদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগাযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে এনআইএ।
রাজস্থান পুলিশের মহাপরিচালক গতকাল বুধবার বলেন, গ্রেপ্তার একজনের সঙ্গে পাকিস্তানের একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর যোগসাজশ রয়েছে। এএনআই বলেছে, ওই ব্যক্তি ২০১৪ সালে করাচি যান। সেখানকার একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
গত মঙ্গলবার দুই তরুণ উদয়পুরের জনাকীর্ণ বাজারে খদ্দের সেজে কানহাইয়ার দোকানে ঢুকে তাঁকে হত্যা করেন। হত্যার সেই দৃশ্যের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তাঁরা। এরপর দুই হামলাকারী সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে পালান। পরে রাজস্থান পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি হলেন গাউস মোহাম্মদ ও রিয়াজ আনসারি। ভিডিওতে তাঁদের মুখ স্পষ্ট দেখা যায়। তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হত্যার হুমকি দেন তাঁরা।
ওই ঘটনার পর উদয়পুরসহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জারি করা হয় কারফিউ।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা। ওই মন্তব্যে দেশে-বিদেশে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এরপর নূপুরকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিজেপি। দরজি কানহাইয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে নূপুরকে সমর্থন করেছিলেন বলে অভিযোগ। সেই পোস্ট নিয়েও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পুলিশ কানহাইয়াকে গ্রেপ্তারও করেছিল।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশকে কানহাইয়া নাকি বলেছিলেন তাঁর নাবালক পুত্র ভুল করে ওই কাজ করেছিল। পরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে পুলিশ। কানহাইয়াও মুক্তি পান। বেশ কয়েক দিন বন্ধ রাখার পর কয়েক দিন আগে তিনি আবার দোকান খোলেন। তারপরই তাঁকে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনার আগে কানহাইয়া লাল হুমকি পাচ্ছিলেন।